বাংলা স্কুপ, ৪ অক্টোবর:
কাঁচা মরিচের দামের ঝালে দিশেহারা ক্রেতারা। কেজিতে ১৬০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪২০ টাকায়। ধনিয়াপাতা বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৬০০ থেকে ৬৩০ টাকা। এছাড়াও বন্যার অজুহাতে বেড়েছে বেশিরভাগ সবজির দাম। কেজিতে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা বেড়েছে ইলিশের দাম। ডিমের দামও বাড়তি ডজনে ১০ টাকা। ডাল ও ভোজ্যতেলের সরবরাহ কমার অজুহাতে ঊর্ধ্বমুখী পণ্য দুটির দাম। ক্রেতারা বলছেন বাজার তদারকির অভাবেই বাড়ছে পণ্যের দাম।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর মুরগি ও ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছিল সরকার। কিন্তু এর কোনো প্রতিফলন নেই বাজারে। এলাকাভেদে ডজনপ্রতি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা এবং ব্রয়লার মুরগি ১৯০ থেকে ২১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি সোনালি মুরগির দামও ১০ টাকা বেড়ে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা হয়েছে। এতে নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তরা পড়েছেন চরম বিপাকে। সুখবর নেই সবজিতেও। গত সপ্তাহের চেয়ে আরও বেড়েছে দাম।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, খিলগাঁও, নিউমার্কেট ও হাতিরপুলসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাজারগুলো শাক-সবজিতে ভরপুর। দোকানিরা বেগুন, শসা, পটল, বরবটি, কচুর লতি, ঢ্যাঁড়শ, কাঁকরোল, পেঁপে, করলা, শিম, গাজর, মুলা, ফুলকপি ও বাঁধাকপির পসরা সাজিয়েছে বসেছেন। তবে কোনটার দামই নাগালে নেই। তবে বিভিন্ন রকমে শাকের দাম স্থিতিশীল রয়েছে বলে ক্রেতারা জানান।

বাজারে মানভেদে প্রতিকেজি বেগুন ১০০ থেকে ১৪০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৮০, ঢেড়শ ৫০ থেকে ৬০, বরবটি ১০০ টাকা, মুলা ৫০, কচুর লতি ৬০ থেকে ৮০, ধুন্দুল ৮০ টাকা ও পটল ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি পেঁপে ৪০, কাঁকরোল ৮০, গাজর ১৮০, কচুরমুখী ৮০ থেকে ৯০ টাকা, টমেটো ১৬০, শিম ৩০০-৩৩০ টাকা ও শসা ৬০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
পাশাপাশি, প্রতি কেজি চিচিঙ্গা ৬০, প্রতি পিস ফুলকপি ৬০ থেকে ৭০, আলু কেজি প্রতি ৫৫ থেকে ৬০ ও প্রতি পিস লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা।
তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, সম্প্রতি বন্যায় ও টানা বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত। এতে বাজারে সরবরাহ কম থাকায় সবজির দাম বেড়েছে।
পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের শর্ত শিথিল ও শুল্ক কমানোর পর দেশে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। আগে যে পেঁয়াজ ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতো, তা এখন ১১০ থেকে ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে, রসুনের কেজি প্রকারভেদে ১৭০ থেকে ২৩০ টাকা।
বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের এমন দামে হতাশ ক্রেতারা। তারা বলছেন, সরকার বদলেছে, তবে বাজার সিন্ডিকেট একই আছে। আর সিন্ডিকেটের কবলেই জিম্মি ভোক্তার পকেট। এ অবস্থা থেকে যেন আর পরিত্রাণ নেই!
ডেস্ক/এসকে