ঢাকা , বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫ , ১৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রাইভেটকারের পাদানির নিচে রাখা ছিল ৫ কোটি টাকার ইয়াবা

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ২২-০৩-২০২৫ ০৫:১৬:২৯ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ২২-০৩-২০২৫ ০৫:১৭:৩১ অপরাহ্ন
প্রাইভেটকারের পাদানির নিচে রাখা ছিল ৫ কোটি টাকার ইয়াবা ​ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর হাতিরঝিল থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার পিস ইয়াবাসহ চারজন ইয়াবা ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। উদ্ধারকৃত ইয়াবার আনুমানিক মূল্য ৫ কোটি টাকা। এটাই ঢাকা মহানগর এলকায় জব্দ হওয়া ইয়াবার সবচেয়ে বড় চালান বলে জানিয়েছেন অধিদফতরের কর্মকর্তারা।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- নারায়নগঞ্জের আড়াই হাজার থানার মৃত আবুল হাসেমের ছেলে মো. নজরুল ইসলাম ওরফে সোহেল রানা। শেরপুরের নলিতাবাড়ী উপজেলার মো. নুরুল ইসলামের ছেলে মো. আল মামুন (৩২) এবং চট্টগ্রামের খুলশী থানার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ ফারুক ওরফে ওমর ফারুক (৪৬) ও তার স্ত্রী তানিয়া (৩২)।

শুক্রবার (২১ মার্চ) রাতে রাজধানীর হাতিরঝিলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার (২২ মার্চ) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সংস্থাটি এ তথ্য জানায়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ঢাকা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক একেএম শওকত ইসলাম বলেন, জব্দকৃত বিলাসবহুল প্রাইভেটকারে তল্লাশি করে পাদানির নিচের প্যানেলে বিশেষভাবে ঝালাই করা অংশের ভেতর থেকে লুকিয়ে রাখা ১লাখ ৬০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।

তিনি আরও জানান, চক্রটি কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে ইয়াবার চালানটি ঢাকায় নিয়ে আসতো। এছাড়াও প্রতিমাসে বড় একটি চালান ঢাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করতো তারা। প্রায় তিন মাসের চেষ্টায় চক্রটিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে বলেও জানায় সংস্থাটি।

চক্রটিকে যেভাবে গ্রেপ্তার করা হয়
প্রায় ৩ মাস আগে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো কার্যালয়ের (উত্তর) সহকারী পরিচালক মো. এনায়েত হোসেন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন যে, একটি সংঘবদ্ধ মাদক ব্যবসায়ীচক্র বায়িং হাউজ এবং আবাসন ব্যবসার আড়ালে টেকনাফ থেকে বিলাসবহুল গাড়িতে ইয়াবার বড় বড় চালান এনে ঢাকা শহরের বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় এবং দেশের বিভিন্ন জেলায় পাইকারি মাদক ব্যবসায়ীদের সরবরাহ করে। তখন থেকেই অধিদপ্তর কড়া নজরদারি বজায় রাখলেও সুচতুর কৌশলে তারা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ধরা ছোঁয়ার বাইরে ছিল।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো কার্যালয়ের (উত্তর ) উপপরিচালক শামীম আহমেদ জানান, এই চক্রের বিরুদ্ধে গত মাসে একটি অভিযান পরিচালনা করলেও তা ব্যর্থ হয়। সর্বশেষ সপ্তাহ খানেক আগে গোয়েন্দাসূত্রে জানা যায়, এই চক্রটি আসন্ন ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষ্যে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাচারের উদ্যোগ নিয়েছে। তারা টেকনাফের একটি রির্সোটে দীর্ঘ সময় ধরে হুন্দাই কোম্পানির বিলাসবহুল গাড়ির পাদানির নিচের প্যানেলে বিশেষ কৌশলে ১ লাখ ৬০ হাজার পিস ইয়াবা ঢুকিয়ে প্যানেলটি সুনিপুণভাবে ঝালাই করে রাখেন। সর্বশেষ সংবাদের ভিত্তিতে অধিদপ্তরের একটি দল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে অভিযান চালায়। এই অভিযানে ঢাকা মেট্রো এলাকায় আসামিদের গাড়িটি ৭ কিলোমিটারের বেশি রাস্তা ধাওয়া করে আটক করা হয়।

তিনি জানান, গাড়িটি আটকের পর প্যানেলের ঝালাই করা অংশটি খুলে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তারা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দৃষ্টি এড়ানোর জন্য বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে। তারা বড় বড় ইয়াবার চালান ঢাকায় সরবরাহ ও বিক্রয় করেন।
 
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এসকে 


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ