গত বছরের তুলনায় এবার পবিত্র রমজানে প্রায় সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে স্থিতিশীল আছে। তবে, চালের দাম বেড়েছে মানভেদে ২ থেকে ৪ টাকা। ফলে, চাল কিনতে গিয়ে অস্বস্তি প্রকাশ করছেন সাধারণ ক্রেতারা। শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারগুলো ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখন বাজারে মোটা চাল (বিআর ২৮) বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫৮ থেকে ৬০ টাকায়। মানভেদে মিনিকেট চাল ৮০ থেকে ৯০ টাকা, নাজিরশাইল ৬৮ থেকে ৮০ টাকা, মাঝারি চাল ৭০ থেকে ৭৬ টাকা, চিনিগুঁড়া পোলাওয়ের চাল ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমেছে সবজির দাম। এখন বাজারে প্রতি কেজি বেগুন মানভেদে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, সিম ৫০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, টমেটো ২০ থেকে ২৫ থেকে টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, দেশি শসা ৪০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০ টাকা, কাঁচামরিচ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, প্রতি পিস লাউ ৫০ টাকা, জালি কুমড়া ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা এবং বড় সাইজের ফুলকপির জোড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। আজ প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়। প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, রসুন ২৩০ টাকা এবং দেশি আদা ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি মসুর ডাল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা এবং ছোলা ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের দাম স্বাভাবিক আছে। এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি দরে। চাষের পাঙাসের কেজি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। প্রতি কেজি তেলাপিয়া ২০০ টাকা, কৈ ২২০ টাকা, শিং ৫০০ টাকা, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকায়।কমেছে ডিমের দাম। এখন প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকায়। সোনালি জাতের মুরগি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে। খাসির মাংসের কেজি ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা।
রাজধানীর সালেক গার্ডেন কাঁচাবাজারে কেনাকাটা করতে আসা গৃহিণী রিনা আক্তার বলেছেন, “চালের দাম গত রমজানের তুলনায় বেড়েছে। সয়াবিন তেল সব দোকানে ১ থেকে ২ লিটারের বোতল পাওয়া যায় না। তবে, পাঁচ লিটারেরটা পাওয়া যাচ্ছে। এখন চালের দামটা কমলেই আমাদের মতো সাধারণ মানুষ একটু স্বস্তি পেতাম।” রাজধানীর নিউ মার্কেটের জাকির জেনারেল স্টোরের স্বত্বাধিকারী জাকির হোসেন বলেছেন, “বাজারে কয়েক সপ্তাহে চালের দাম সামান্য বাড়তি। আমদানি কম হওয়ায় এ অবস্থা। আশা করি, সামনে চালের দাম কমবে। তবে, এখনো সয়াবিন তেলের সংকট সম্পূর্ণ কাটেনি।”
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এনআইএন