দেশের রাজনৈতিক ভাগ্য জনগণই নির্ধারণ করবে : মির্জা ফখরুল
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
০৬-০৩-২০২৫ ০৮:৫১:৫৮ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
০৬-০৩-২০২৫ ০৮:৫১:৫৮ অপরাহ্ন
সংবাদচিত্র : ফোকাস বাংলা নিউজ
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভাগ্য কেবল দেশের জনগণই নির্ধারণ করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) ঢাকায় কর্মরত বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে দলীয় ইফতারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে এই ইফতারে ব্রিটিশ হাই কমিশনার সারাহ কুক, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত জন ড্যানিলোভিজ, পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ আহমেদ মারুফ, তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেনকে নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক টেবিলে বসে ইফতার করেন।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন, জার্মানির রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোস্টার, চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, ভারতের হাইকমিশার প্রণয় কুমার ভার্মা, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল উলিয়াম মিলার ছাড়াও রাশিয়া, জাপান, কানাডা, সংযুক্ত আবর আমিরাত, নরওয়ে, সুইডেন, স্পেন, ফ্রান্স, ইতালী, দক্ষিন কোরিয়া, নেপাল, ইরাকসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা অংশ নেন। জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কূটনীতিকরাও ছিলেন এই আয়োজনে।
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে থেকে মির্জা ফখরুল ইফতারে কূটনীতিকদের শুভেচ্ছা জানান।
ইফতারের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গণতন্ত্র, জবাবদিহিতা, আইনের শাসন, সুশাসন, ন্যায়বিচার এবং মানবতা সমুন্নত রাখার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভাগ্য কেবল তার জনগণই নির্ধারণ করবে। আমরা আশা করি যে আমাদের বিশ্বব্যাপী বন্ধু এবং অংশীদাররা আমাদের সম্মিলিত বিকাশের জন্য ‘অ-হস্তক্ষেপ’, ‘সার্বভৌমত্ব’ এবং ‘বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান’ এর বিশ্বব্যাপী নিয়মগুলিকে সম্মান করবে। গণতন্ত্র এবং উদার বাণিজ্য অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমাদের অঞ্চলের সম্মিলিত অগ্রগতি নিশ্চিত করতে আমরা আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চাই এবং আগামী দিনে আমরা আরও বেশি করে জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য উন্মুখ।
তিনি বলেন, আজকে আমরা এই ইফতার ভাগ করে নেওয়ার সময় আমাদের ন্যায়বিচার, স্থিতিস্থাপকতা এবং ঐক্যের মূল্যবোধের কথা মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের জনগণ ভয়, নিপীড়ন এবং রাজনৈতিক অনিশ্চয়তামুক্ত একটি ভবিষ্যতের যোগ্য। সামনের পথ স্পষ্ট- একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রে দ্রুত প্রত্যাবর্তন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টু প্রমুখ।
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স