ঢাকা , বুধবার, ০৫ মার্চ ২০২৫ , ২০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​সাদিক অ্যাগ্রোর ইমরানের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ০৪-০৩-২০২৫ ০৫:৪৯:৫২ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ০৪-০৩-২০২৫ ০৬:৫৮:২৯ অপরাহ্ন
​সাদিক অ্যাগ্রোর ইমরানের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ ​সংবাদচিত্র : ফোকাস বাংলা নিউজ
১৩৩ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার মামলায় গ্রেপ্তার আলোচিত সাদিক অ্যাগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরান হোসেনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এদিন দুপুর ১টা ২৩ মিনিটে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাজির করা হয়। এ সময় তাকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়।

পরে বিকেল ৩টার দিকে তাকে আদালতের কাঠগড়ায় তোলা হয়। তখন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মো. সায়েদুর রহমান তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। এ সময় আসামিপক্ষে জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।এর আগে গত ৩ মার্চ অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উপপরিদর্শক মো. জোনাঈদ হোসেন বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় মামলায় করেন। মামলায় সাদিক অ্যাগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক তৌহিদুল আলম জেনিথ ও সাদিক অ্যাগ্রো লিমিটেডকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ৫-৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।এ মামলার পর সোমবার বিকেলে রাজধানী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। 

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ইমরান হোসেন, তৌহিদুল আলম জেনিথ ও অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান সাদিক অ্যাগ্রো লিমিটেড সংঘবদ্ধ অপরাধচক্রের মাধমে চোরাচালান, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে অনুমোদনহীন ব্রাহমা জাতের গরু আমদানি ও সরকারি বিধি লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে বিদেশে প্রায় ৮৬ লাখ টাকা পাচার করেন। টেকনাফ ও উখিয়া, কক্সবাজার সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে থাইল্যান্ড ও মায়ানমার হতে চোরাচালানের মাধ্যমে গরু ও মহিষ বাংলাদেশে নিয়ে এসে তা বিক্রয় এবং ভুটান ও নেপাল থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে আনা ছোট আকৃতির ভুট্টি গরু বাংলাদেশে নিয়ে এসে তা বিক্রয় করে। প্রতারণার মাধ্যমে দেশীয় গরু/ছাগলকে বিদেশি ও বংশীয় গরু-ছাগল বলে প্রচার করে উচ্চমূল্যে তা কোরবানির পশুর হাটে বিক্রয় করে অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ অভিযুক্ত ব্যক্তি ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে প্রায় ১২১ কোটি ৩২ লাখ ১৫ হাজার ১৪৪ টাকা টাকা হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূন্তর করেছে।

ঢাকার কাস্টমস হাউস কর্তৃক আটক করা এবং সাভারের কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে থাকা ১৫টি ব্রাহমা জাতের গরু সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক জবাই করে ন্যায্যমূল্যে মাংস বিক্রয়ের কথা থাকলেও জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজে পত্রে সেগুলো জবাই দেখিয়ে প্রতারণামূলকভাবে তা জবাই না করে কৌশলে তা হাতিয়ে নেন।

এরপর এসব গরু অনুমোদনহীনভাবে জোরপূর্বক মোহাম্মদপুর থানাদান বেড়িবাঁধ এলাকায় রামচন্দ্রপুর সরকারি খাল ভরাট ও জবর দখল করেন। অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান জালালাবাদ মেটাল লিমিটেডের নামে এফডিআর খুলে ১১ কোটি ৩৬ লাখ ৯১ হাজার ২০০ টাক বিনিয়োগ করে রূপান্তর করেছেন। 

অনুমোদনহীনভাবে জোরপূর্বক মোহাম্মাদপুর থানাধীন বেড়িবাঁধ এলাকায় রামচন্দ্রপুর সরকারি খাল ভরাট ও জবর দখল করেন এবং সরকারি বিধি লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে বিদেশে অর্থপাচার করে ও অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ করে সর্বমোট প্রায় ১৩৩ কোটি ৫৫ লাখ ৬ হাজার ৩৪৪ টাকা হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করেছেন।



বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এনআইএন/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ