১ ঘণ্টায় কুকুরের কামড়ে আহত ৩৭
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
০৪-০৩-২০২৫ ০২:১৩:৩৯ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
০৪-০৩-২০২৫ ০২:১৩:৩৯ অপরাহ্ন
প্রতীকী ছবি
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় এক ঘণ্টায় পাগলা কুকুরের কামড়ে ৩৭ জন আহত হয়ে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে এসেছেন। আহতদের মধ্যে নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ কয়েকজন রয়েছেন। এ হাসপাতালে তিনজনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং ৬ জনকে রাজধানীর মহাখালী সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (৩ মার্চ) সকাল ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত উপজেলার রামপুর, ত্রিমোহনী, পেওরাইট, আনজাবো, মালোয়ারটেক এবং পিরোজপুর গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় পাগলা কুকুর আক্রমণ করে।
এ দিকে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন না থাকায় পাগলা কুকুরের কামড়ে আহত বাকি ২৮ জনের মধ্যে কেউ স্থানীয় ফার্মেসিতে এবং কেউ জেলা শহরের গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গিয়েছেন। উপজেলায় পাগলা কুকুরের উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আহতরা হলেন, কাপাসিয়া উপজেলার আনজাব গ্রামের জুয়েনা ও তার মেয়ে, একই গ্রামের মানিক মিয়া, ইউনিটি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাছলিমা আক্তার, একই গ্রামের সেলিম ও তার স্ত্রী, রামপুর গ্রামের মতিউর রহমান ও শহিদুল্লাহ, কবির হোসেন ও তার স্ত্রী শাহনাজ এবং ছেলে লিমনসহ আরও অজ্ঞাত।
কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জরুরি বিভাগ সূত্র জানায়, সোমবার সকালে হাসপাতালে একসঙ্গে অনেক আহত রোগী এসেছেন। তারা সবাই কুকুরের কামড় খেয়ে আসেন। কুকুর কারো হাতে, কারো পায়ে কামড় দিয়েছে। কুকুরের কামড়ে আহত অন্তত ৩৭ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ হাসপাতালে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন না থাকায় আহত অনেকে রাজধানীর মহাখালী সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে চলে গেছে। একজন নারী রোগির হাড় বের হয়ে গেছে। কুকুরের কামড়ে সংক্রমণ এবং জলাতঙ্কের ঝুঁকি থাকায় চিকিৎসক সবাইকে প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা কফিল মেম্বার বলেন, আমরা রাস্তায় বের হতেও ভয় পাচ্ছি। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই কুকুর দৌড়ে এসে হাতে দিচ্ছে। বিশেষ করে আজকে ভোর বেলায় আমার স্ত্রী ও সন্তানকে কামড় দিয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাগলা কুকুরের উপদ্রব বেড়ে গেছে। এসব কুকুর হঠাৎ করে পথচারীদের আক্রমণ করে তাদেরকে কামড় অথবা খামচি দিয়ে আহত করছে।
কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মামুনুর রহমান বলেন, এই হাসপাতালে ভ্যাকসিন না থাকায় ৯ জনের মাঝে ৬ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় রাজধানীর মহাখালী সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কাপাসিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এ কে এম আতিকুর রহমান বলেন, গত তিন বছর আগে উপজেলায় কুকুরকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ভেটেরিনারী সার্জন আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছেন।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স