রমজান মাস শুরুর সঙ্গে সঙ্গে মাদারীপুরে তরমুজ, আনারসসহ মৌসুমি ফলের চাহিদা বেড়েছে। তবে সেইসঙ্গে বেড়েছে দামও, যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। আমদানি কম ও পরিবহন খরচ বেশি হওয়ায় দাম বেড়েছে বলে দাবি করেছেন আড়তদাররা। এদিকে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সিন্ডিকেটকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
সরেজমিনে দেখা যায়, মাদারীপুরের মোস্তফাপুরের ফলের আড়তে সারি সারিভাবে রাখা হয়েছে তরমুজ, ফুটি, আনারসসহ মৌসুমি ফল। কাকডাকা ভোর থেকেই এখানে কেনাবেচা শুরু হয়। বরিশাল, যশোর, শরিয়তপুর, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা আসেন ফল কিনতে। যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো থাকায় এই আড়ত দিনে দিনে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রকারভেদে তরমুজ প্রতিপিস ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, আনারস ২৫ থেকে ৫০ টাকা, ফুটি ৪০ থেকে ৯০ টাকা, পেয়ারা প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৬০ টাকা এবং বড়ই ২৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মোস্তফাপুরের অর্ধশত আড়তে প্রতিদিন কোটি টাকার ফল কেনাবেচা হয়। তবে ফলের দাম বেশি হওয়ায় পাইকার ও খুচরা বিক্রেতারা অসন্তুষ্ট।
শরিয়তপুর থেকে আসা ব্যবসায়ী জামাল মাদবর বলেন, ‘দাম বেশি হওয়ায় লাভ হচ্ছে না। ক্রেতারা বেশি দামে ফল কিনতে গিয়ে তর্কে জড়াচ্ছেন। রমজানের শুরুতেই এমন দাম হওয়ায় দুশ্চিন্তায় আছি।’কাজীরহাট থেকে আসা আরেক ব্যবসায়ী শাহ আলম বলেন, ‘বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও দাম বেশি হওয়ায় কিনতে পারছি না। বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করাও সম্ভব হচ্ছে না। আড়তে দাম কিছুটা কম হলে ভালো হতো।’স্থানীয় আড়তদার কবির মাতুব্বর বলেন, ‘মৌসুমি ফলের সরবরাহ কিছুটা কম, কিন্তু চাহিদা বেশি। পরিবহন খরচ বেড়েছে, কিছু ফসলও নষ্ট হয়েছে, তাই দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে এখনো তা ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যেই রয়েছে।’
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মাদারীপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘বাজারে নিয়মিত অভিযান চলছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরাও মাঠে রয়েছেন। কেউ সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ালে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন