ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ ২০২৫ , ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​প্রথম দিনেই জমজমাট বেইলি রোডের ইফতার বাজার

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ০২-০৩-২০২৫ ০৫:১৫:২৩ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ০২-০৩-২০২৫ ০৫:১৫:২৩ অপরাহ্ন
​প্রথম দিনেই জমজমাট বেইলি রোডের ইফতার বাজার ​সংবাদচিত্র : ফোকাস বাংলা নিউজ
প্রথম রমজানেই জমে উঠেছে রাজধানীর বেইলি রোডের ইফতার বাজার। রমজানের শুরুতেই পছন্দের ইফতার কিনতে বেইলি রোডের নবাবী ভোজ ও বেইলি পিঠা ঘরে ক্রেতাদের বেশ ভিড় দেখা গেছে। নবাবী ভোজের বিভিন্ন আইটেমের হালিম কিনতে লাইন দিচ্ছেন ক্রেতারা। অপরদিকে বেইলি পিঠা ঘরের গুড়ের জিলাপিসহ বেশকিছু আইটেম বিক্রির শীর্ষে রয়েছে। রোববার (২ মার্চ) রাজধানীর বেইলি রোডের ইফতার বাজার ঘুরে এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র দেখা গেছে৷

সরেজমিনে দেখা গেছে, নবাবী শাহী হালিম ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা, ঘি ও জাফরানে ভাজা নবাবী স্পেশাল শাহী জিলাপি ৪৫০ টাকা কেজি, ঘি ও জাফরানে ভাজা নবাবী স্পেশাল বোম্বে জিলাপি ৩৫০ টাকা কেজি, ঘি ও জাফরানে ভাজা নবাবী স্পেশাল রেশমি জিলাপি ৬০০ টাকা কেজি, নবাবী জর্দা ২৫০ টাকা কেজি, নবাবী ক্ষিরসা ফালুদা ৩৫০ টাকা কেজি, নবাবী জাফরানি পেস্তা বাদাম শরবত ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি, নবাবী বোরহানি ১২০ থেকে ২৩০ টাকা বোতল, নবাবী লাবাং ১২০ টাকা লিটার, সুইট লাচ্ছি ২৫০ টাকা লিটার, চিকেন ঝাল ফ্রাই ১৪০০ টাকা কেজি, বিফ ভুনা ১ হাজার ৬০০ টাকা কেজি, মাটন ভুনা ১হাজার ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া শাহী ছোলা ৩৫০ টাকা কেজি, পেঁয়াজু ১৫ টাকা পিস, বেগুনি ১৫ টাকা পিস, চিকেন সমুচা ৩০ টাকা পিস, ফুলকপির চপ ৩০ টাকা পিস, অনথন ৩০ টাকা পিস, মধুবান ৫০ টাকা পিস, মুরালি ৩০০ টাকা কেজি, ডিম চপ ৩০ টাকা পিস, স্প্রিং রোল ৩০ টাকা পিস, স্পেশাল বাটার নান ৭০ টাকা পিস, রুমালি রুটি ৪০ টাকা পিস, চিকেন রেশমি কাবাব ২৮০ টাকা পিস, শিক কাবাব ২২০ টাকা পিস, চিকেক সাসলিক ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

শাহাবুদ্দিন নামের এক ক্রেতা বলেন, ইফতারে আমার পরিবার সবসময় একাধিক আইটেম পছন্দ করে। বাসায় ছোলা-বুট ও চপ তৈরি করা হয়। কিন্তু জিলাপি, বুরিন্দি, নান,  লেগ রোস্ট এগুলো ইফতার বাজার থেকেই বেশিরভাগ সময় কেনা হয়। প্রথম রমজান বলেই ইফতারে আইটেম একটু বেশি থাকবে।

আব্দুল কাদের নামের আরেক ক্রেতা বলেন, বেশকিছু আইটেমের দাম বেশি। দাম একটু কম হলে একাধিক আইটেম কেনা যায়। আমরা যারা হোস্টেলে থাকি তাদের বাসায় কিছুই রান্না হয় না। মায়ের হাতের ইফতার তো কপালেই জোটে না। এদিকে অতিরিক্ত দাম হওয়ায় ইচ্ছা থাকলেও সব আইটেম ট্রাই করা যায় না। দাম নাগালের মধ্যে হলে ভালো হয়।আশ্রাফ আলী নামের এক বিক্রেতা বলেন, প্রথম রমজানে আলহামদুলিল্লাহ ভালো বিক্রি হচ্ছে। মানুষ আগ্রহ নিয়ে বিভিন্ন আইটেমের ইফতার সামগ্রী নিচ্ছেন।  বেইলি পিঠা ঘিরের বিক্রেতা মো. বাশার বলেন, বিক্রি আলহামদুলিল্লাহ ভাল। সবকিছু মন্দা। তারপরেও যা হচ্ছে তাতেই আলহামদুলিল্লাহ।

বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এনআইএন/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ