ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ , ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাগর-রুনি হত্য মামলার তদন্তে টাস্কফোর্স গঠনের আদেশ

আপলোড সময় : ৩০-০৯-২০২৪ ০২:২১:০৪ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ৩০-০৯-২০২৪ ০৯:২৪:০২ অপরাহ্ন
সাগর-রুনি হত্য মামলার তদন্তে টাস্কফোর্স গঠনের আদেশ ​সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি। ফাইল ফটো
বাংলা স্কুপ, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪: 
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলা থেকে র‍্যাবকে সরিয়ে তদন্তের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠনের আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিভিন্ন বাহিনীর অভিজ্ঞ তদন্ত কর্মকর্তাদের নিয়ে এই টাস্কফোর্স গঠন করতে হবে। টাস্কফোর্স গঠনের পর ৬ মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
 আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক। মামলাতে বাদীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির শুনানি করেন। রিটের পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ শুনানি করেন।
 এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টের দেওয়া এক আদেশে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় র‍্যাব। তদন্তের জন্য মামলাটি র‍্যাবের কাছে পাঠানোর এই আদেশ সংশোধন চেয়ে রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্রসচিবের পক্ষে হাইকোর্টে আবেদনটি করা হয়। শুনানি নিয়ে আদালত হাইকোর্টের আদেশ (২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল দেওয়া) সংশোধন চেয়ে করা আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। সেই সঙ্গে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী বছরের ৬ এপ্রিল দিন রেখেছেন।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর ও রুনি। সাগর সে সময় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙা টিভিতে আর রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন। সাগর-রুনি হত্যার ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম বাদী হয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন।
প্রথমে এই মামলা তদন্ত করছিল শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ। চার দিন পর মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার ৬২ দিনের মাথায় ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টে ব্যর্থতা স্বীকার করে ডিবি। এরপর আদালত র‍্যাবকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। তখন থেকে মামলাটির তদন্ত করছে র‍্যাব। এ নিয়ে এই মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ ১১১ বার পিছিয়েছে।

প্রতিবেদক/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ