নির্বাচন ভবনে অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যক্তির প্রবেশ ঠেকাতে আট নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ইসির প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও উপসচিব সহিদ আব্দুস ছালাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করেছেন।

আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, নির্বাচন ভবনের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং কর্ম উপযোগী পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য অপ্রয়োজনীয় যাতায়াত এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিদের প্রবেশ সীমিত করার জন্য নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের প্রবেশ পথ ও অভ্যন্তরে যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

নির্দেশনাগুলো হলো
 ০১. নির্বাচন ভবনে প্রবেশ ও অবস্থানকালীন সময়ে অফিসিয়াল প্রবেশপত্র/পরিচয়পত্র ব্যবহার করে প্রবেশ করতে হবে এবং তা ঝুলিয়ে রাখা থাকবে।
 
০২. কার্ডধারী কর্মকর্তা/কর্মচারী নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, নির্বাচন ভবনে প্রবেশের পূর্বে আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহার করবেন এবং সঙ্গে বহনকৃত ব্যাগ/বস্তু ব্যাগেজ স্ক্যানারে মাধ্যমে স্ক্যান করা নিশ্চিত করবেন।
 
০৩. কার্ডধারী কর্মকর্তা/কর্মচারীরা ভবনে প্রবেশ ও প্রস্থানকালে ফ্ল্যাপ বেরিয়ার ট্রান্সটাইল এন্টারেন্স এক্সেস কন্ট্রোল ব্যবহার করে সুনির্দিষ্ট গেটের মাধ্যমে ডিজিটাল হাজিরা নিশ্চিত করবেন।
 
০৪. দর্শনার্থী/সেবা প্রত্যাশী নির্বাচন ভবনে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রবেশকারীর তথ্য রেজিস্টার/কম্পিউটারে লিপিবদ্ধ করে ভিজিটর কার্ড গ্রহণপূর্বক দর্শনীয়ভাবে তা গলায় ঝুলিয়ে ফ্ল্যাপ বেরিয়ার ট্রান্সটাইল এন্টারেন্স এক্সেস কন্ট্রোল গেট দিয়ে প্রবেশ করবেন।

০৫. দর্শনার্থী/সেবা প্রত্যাশী ভবনের যে তলায় (Level) প্রবেশাধিকার পাবেন তিনি শুধুমাত্র সেখানেই যাবেন এবং প্রয়োজনীয় সময় পর্যন্ত অবস্থান করবেন। নির্বাচন ভবন ত্যাগ করার পূর্বে ভিজিটর কার্ড ফেরত দেবেন।
 
০৬. কোনো কর্মকর্তা/কর্মচারী অফিস চলাকালীন সময়ে বিশেষ প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতি ব্যতিরেকে নির্বাচন ভবনের বাইরে যাবেন না।
 
০৭. অফিস ত্যাগের পূর্বে সকলেই আবশ্যিকভাবে স্ব-স্ব অনুবিভাগ/অধিশাখা/শাখার নথিপত্র নিরাপদে সংরক্ষণ করার পাশাপাশি কম্পিউটার সামগ্রী, এসি, বৈদ্যুতিক ফ্যান, মাল্টিপ্লাগ, লাইট, দরজা-জানালা ইত্যাদি বন্ধ করে অফিস ত্যাগ করবেন।
 
০৮. দাপ্তরিক প্রয়োজন ব্যতীত কোন কর্মকর্তা/কর্মচারী ভবন বা স্বীয় দপ্তরে অতিরিক্ত সময় অবস্থান করবেন না।

বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এসকে