ঢাকা , বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ১৩ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​ছবি তুললেই ৩০ টাকা!

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ২৫-০২-২০২৫ ০৪:৫৭:১০ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ২৫-০২-২০২৫ ০৪:৫৭:১০ অপরাহ্ন
​ছবি তুললেই ৩০ টাকা! ​ছবি: সংগৃহীত
গাজীপুরের কালীগঞ্জে সূর্যমুখী ফুলের একটি বাগান দেখতে দর্শনার্থীদের গুনতে হচ্ছে ৩০ টাকা। শুরুতে প্রবেশ মূল্য ছিল ২০ টাকা। লোক সমাগম বেশি ও বাগানে ক্ষতির মাত্রা বেড়ে গেলে পরে প্রবেশ মূল্য বাড়ানো হয়। 

কালীগঞ্জ উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের সাওরাইদ গ্রামে একটি সূর্যমুখী ফুলের বাগানে গেলে দেখা যায়, বাগানের পাশেই বড় করে একটি সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে “অনুমতি ছাড়া প্রবেশ নিষেধ, প্রবেশমূল্য ৩০ টাকা’। প্রবেশমুখের অপর একটি সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে ‘‘ফুল ছিঁড়লে জরিমানা ২০০ টাকা, গাছ ভাঙলে জরিমানা ২০০ টাকা’।

সাওরাইদ গ্রামে সূর্যমুখী অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে প্রচলিত দ্বি-ফসলী শস্য বিন্যাসকে তিন শস্য বিন্যাসে উন্নয়নের লক্ষে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) রাইস ফার্মিং সিস্টেমস বিভাগ একটি প্রকল্প হাতে নেয়। রবি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ওই গ্রামের কৃষক যতীন্ত্র, হিরোন, সাইফুল, জসিম, রশিদ, নয়ন, রুহি দাস, নিষ কাঞ্চন, নারায়ণ ও লিটন বিশ্বাস নামের ১২ জন সহযোগী কৃষককে নিয়ে ৬ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়। কৃষকরা বিনামূল্যে বারি সূর্যমুখী-৩ জাতের বীজ ও রাসায়নিক সার সবরাহ করা হয়।   

কৃষক লিটন বিশ্বাসের ভাতিজা বিপুল বিশ্বাস বাগানে প্রবেশের পথ আটকে জনপ্রতি ৩০ টাকা প্রবেশমূল্য নিয়ে ঢুকতে দিচ্ছেন দর্শনার্থীদের। বাগান রক্ষক বিপুল বিশ্বাস জানান, প্রতিদিন এখানে শতাধিক দর্শনার্থীর আগমন ঘটছে। তবে সৌন্দর্য উপভোগে প্রবেশ মূল্য টাকা নির্ধারিত থাকলেও সময়ের ব্যাপারে কোন নির্ধারিত সময় দেওয়া নেই। দর্শনার্থীরা ফুলের সৌন্দর্যে বিমোহিত ও আপ্লূত হচ্ছেন।

তিনি বলেন, “এখন বেশিরভাগ গাছে ফুল ফুটেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি জেনে বিপুলসংখ্যক সৌন্দর্য পিপাসু মানুষ বিগত ১৫ দিন ধরে ভিড় জমাচ্ছেন এই বাগানটিতে। লোকজনকে সামাল দিতে প্রতিদিন ৪ থেকে ৭ জন লোক এখানে নিয়মিত সময় দিচ্ছেন।”কথা হয় বাগানে ঘুরতে কয়েকজন দর্শনার্থীর সাথে। এ সময় গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল কয়ের এলাকার রাজন ঘোষ বলেন, “যদিও টিকেটের মাধ্যমে সূর্যমুখী বাগানে আসতে হয়। তবুও এখানে সুন্দর একটা পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আগে ২০ টাকা টিকেট থাকলেও এখন দর্শনার্থীদের চাপ বেশি থাকায় এখন ১০ টাকা বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে। তবু ঘোরার মত একটা জায়গা তৈরি হয়েছে এখানে।”

কালীগঞ্জ পৌরসভার ভাদার্ত্তী এলাকার শহিদুল সরকার জাকির বলেন, “রাস্তা দিয়ে বন্ধুকে নিয়ে মোটরসাইকেল করে যাচ্ছিলাম, হঠাৎ চোখে পড়লো সূর্যমুখীর বিশাল বাগান। অনেক মানুষের কোলাহল। তাই মোটরসাইকেল রাস্তায় পার্কিং করে দুই বন্ধু ৩০ টাকা করে টিকেট কেটে বাগানে ঘুরলাম।”

কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফারজানা তাসলিম বলেন, “ফসলের আশায় সূর্যমুখীর বাগান করলে সেখানে দর্শনার্থীদের প্রবেশ উন্মুক্ত করা উচিত নয়। এতে দর্শনার্থীর পদচারণায় বাগানের মাটি শক্ত হয়। আর তাতে গাছ ঠিক মত নিউটেশন নিতে পারেনা এবং ফুলটাও বড় হয় না। ফুলের বীজগুলো বড় হয় না এবং তেলটাও ঠিকভাবে নিতে পারে না।”

বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ