ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ১৩ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​ধনিয়ায় স্বপ্ন বুনছেন শরীয়তপুরের চাষিরা

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ২৫-০২-২০২৫ ০৪:৩৮:৪৫ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ২৫-০২-২০২৫ ০৪:৩৯:০৬ অপরাহ্ন
​ধনিয়ায় স্বপ্ন বুনছেন শরীয়তপুরের চাষিরা ​ছবি: সংগৃহীত
মসলা জাতীয় ফসল ধনিয়া চাষে শরীয়তপুরের সুনাম দীর্ঘদিনের। বাজারে ধনিয়ার কদর থাকায় কয়েক বছর ধরে জেলাজুড়ে বাড়ছে আবাদ। উৎপাদন খরচ কম আর দাম ভালো পাওয়ায় দিন দিন কৃষকেরাও ঝুঁকছেন চাষে। ফসলটির উৎপাদন আরও বাড়াতে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে পাশে থাকার কথা জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুরে রবিশস্য হিসেবে ব্যাপক সাড়া ফেলছে মসলা জাতীয় ফসল ধনিয়া। উৎপাদন খরচ কিছুটা কম এবং বাজারে চড়া মূল্য হওয়ায় কয়েক বছর ধরে এ অঞ্চলের কৃষকেরা ঝুঁকছেন ধনিয়া চাষে। এতে দিন দিন বাড়ছে ধনিয়া চাষের কৃষিজমি। চলতি মৌসুমে জেলায় ধনিয়া আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ হাজার ৫৬ হেক্টর জমিতে। আবাদ হয়েছে ৬ হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে।

স্থানীয় কৃষক ও সরেজমিনে জানা যায়, মাঠ এখন ধনিয়া ফুলের সাদা চাদরে আবৃত। ধনিয়া ফুলের মিষ্টি গন্ধে ছুটে আসছে মৌমাছিরা। জেলার বিভিন্ন এলাকায় এখন শুধু চাষ হচ্ছে ধনিয়া। পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষকও। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে বেশ ভালো ফলন হয়েছে। বাজারমূল্য ভালো থাকায় চড়া দামে বিক্রির আশা কৃষকদের। পাশাপাশি সরকারিভাবে সার ও বীজ দিয়ে পাশে থাকার দাবি তাদের।

সদর উপজেলার রুদ্রকর এলাকার কৃষক সদানন্দ দাঁড়িয়া চলতি মৌসুমে ২০ শতক জমিতে করেছেন ধনিয়ার চাষ। গত মৌসুমে ফলন ভালো হওয়ায় বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় এ বছর চাষের জমি আগের বছরের চেয়ে বাড়িয়েছেন। চলতি মৌসুমেও তার জমিতে বেশ ভালো ফলন এসেছে। এ থেকে বেশ ভালো টাকা আয় করতে পারবেন এ কৃষক।

জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ধনিয়া চাষে লাভ হওয়ায় গত বছরের তুলনায় এ বছর বেশি জমিতে ধনিয়া চাষ করেছি। এবার ফলনও বেশ ভালো এসেছে। আশা করছি এ বছরও অনেক টাকা লাভ করতে পারবো। আগামীতে আরও জমিতে ধনিয়া চাষ করার ইচ্ছা আছে।’

আরেক ধনিয়া চাষি মতি বেপারী বলেন, ‘ধনিয়ার বাজার বেশ ভালো। বাজারে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা মণ বিক্রি হয়। তাই অন্য ফসলের চেয়ে ধনিয়াটাকে আমরা ভালো মনে করি। দিন দিন আমাদের এলাকায় ধনিয়া চাষ বাড়ছে।’

জয়দেব নামের এক কৃষক বলেন, ‘মসলা জাতীয় ফসল ধনিয়ার বাজার বেশ ভালো। বাজারে নিলে এর অনেক কদর আছে। তাছাড়া ধনিয়ার উৎপাদন বেশ ভালো হয়। সরকারিভাবে আমাদের জন্য যদি সার ও কীটনাশকের ব্যবস্থা করতো, তাহলে আমরা আরও লাভবান হতাম।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোস্তফা কামাল হোসেন বলেন, ‘ধনিয়া বর্তমানে আমাদের শরীয়তপুরের একটি ব্র্যান্ড। এ মসলা জাতীয় ফসলটি চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষক। আমাদের পক্ষ থেকে চাষটি অব্যাহত রাখতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণের পাশাপাশি নানা পরামর্শ দিয়ে থাকি। তাছাড়া আমরা বাজার পরিদর্শন করি, কৃষকেরা যাতে ধনিয়ার ন্যায্য মূল্য পান।’


বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এনআইএন/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ