ঢাকা , বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ১৩ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​ইংল্যান্ডকে মুক্তি দিয়ে বাংলাদেশের লজ্জাজনক রেকর্ড

ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় : ২৫-০২-২০২৫ ০২:২৩:১৪ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ২৫-০২-২০২৫ ০২:২৩:১৪ অপরাহ্ন
​ইংল্যান্ডকে মুক্তি দিয়ে বাংলাদেশের লজ্জাজনক রেকর্ড ​ছবি: সংগৃহীত
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের এবারের অধ্যায়টা ভালো যায়নি কোনোভাবেই। ব্যাটিং, বোলিং কিংবা ফিল্ডিং কোনো বিভাগেই ক্রিকেট ভক্তদের ঠিক মন ভরাতে পারেনি বাংলাদেশ। সবশেষ সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ডু অর ডাই ম্যাচেও ছিল বাংলাদেশ দলের বাজে ক্রিকেটের প্রদর্শনী। 

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে হারলেই বিদায় নিতে হতো। তবু বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে আগে ব্যাট করে এসেছে মোটে ২৩৬ রান। পরবর্তীতে তাসকিন আহমেদ এবং নাহিদ রানা শুরুতেই ব্রেকথ্রু এনে দিলেও সেটা আর হয়নি রাচিন রবীন্দ্র এবং টম ল্যাথামের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের কল্যাণে। দুজনের ১২৯ রানের জুটিতে কার্যত ম্যাচ থেকেই ছিটকে গিয়েছে বাংলাদেশ। 

রাচিন রবীন্দ্র পেয়েছেন বিশ্বরেকর্ড গড়া সেঞ্চুরি। ২৫ বছর বয়সে শচীন টেন্ডুলকারের চেয়ে বেশি আইসিসি ইভেন্ট সেঞ্চুরি এখন রাচিনের। সেইসঙ্গে ক্রিকেট বিশ্বে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দুই অভিষেকেই সেঞ্চুরি করেছেন এই কিউই অলরাউন্ডার।

তবে কীর্তি শুধু রাচিনই গড়েননি, বাংলাদেশও এদিন গড়েছে লজ্জার এক রেকর্ড। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে সবচেয়ে কম ম্যাচে ৬ষ্ঠ সেঞ্চুরি হজম করেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। আইসিসির এই গ্লোবাল ইভেন্টে গতকাল নিজেদের ১৪তম ম্যাচে এসে ৬ষ্ঠ সেঞ্চুরি হয়েছে বাংলাদেশের বিপক্ষে। এত কম ম্যাচে এত বেশি সেঞ্চুরি আর কেউ হজম করেনি। 

 ‘মিনি বিশ্বকাপ’ খ্যাত এই আসরে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি এসেছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। সবমিলিয়ে ১০ সেঞ্চুরি হজম করেছে তারা। এরপরেই আছে বাংলাদেশের নাম। তবে স্বস্তির বিষয়, বাংলাদেশের নামটা আছে যৌথভাবে। ভারত, নিউজিল্যান্ড এবং বাংলাদেশ এই ৩ দলের বিপক্ষে আছে ৬টি করে সেঞ্চুরি। 

ভারত তাদের ৬ষ্ঠ সেঞ্চুরি হজম করেছে বাংলাদেশের বিপক্ষে। সেটা চলতি আসরেই করেছেন বাংলাদেশের তাওহীদ হৃদয়। দুবাইয়ের ওই ম্যাচটি আইসিসির এই আসরে ভারতের ৩০তম ম্যাচ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৬ষ্ঠ সেঞ্চুরি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। সেটা হয়েছিল ২০১৭ আসরের কার্ডিফ ম্যাচে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেটা ছিল কিউইদের ২৪তম ম্যাচ। 

আর ইংল্যান্ড তাদের ৬ষ্ঠ সেঞ্চুরি হজম করেছিল ২০০৯ আসরের সেমিফাইনালে। সেঞ্চুরিয়নে সেদিন জোড়া সেঞ্চুরি ছিল শেন ওয়াটসন ও রিকি পন্টিংয়ের। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেটা ছিল ইংল্যান্ডের ১৬তম ম্যাচ। 

বাংলাদেশ গতকাল ১৪তম ম্যাচেই হজম করে ফেলেছে ৬ষ্ঠ সেঞ্চুরি। বাংলাদেশের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এর আগে সেঞ্চুরি পেয়েছেন শ্রীলঙ্কার উপুল থারাঙ্গা (মোহালি, ২০০৬), ক্রিস গেইল (জয়পুর, ২০০৬), জো রুট (দ্য ওভাল, ২০১৭), রোহিত শর্মা (বার্মিংহ্যাম, ২০১৭)।   

আর চলতি আসরে সেঞ্চুরি করেছেন শুভমান গিল এবং রাচিন রবীন্দ্র। সেই দুই সেঞ্চুরিই বাংলাদেশকে বসালো বিব্রতকর এক রেকর্ডের খাতায়।


বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ