ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ১৩ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​মোদির সঙ্গে ইউনূসের সাক্ষাতের সম্ভাবনা

ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় : ২৫-০২-২০২৫ ০১:৩৬:৫৯ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ২৫-০২-২০২৫ ০১:৩৬:৫৯ অপরাহ্ন
​মোদির সঙ্গে ইউনূসের সাক্ষাতের সম্ভাবনা ​ছবি: সংগৃহীত
থাইল্যান্ডে আসন্ন বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যোগ দিচ্ছেন। ভারত সরকারিভাবে এ খবর থাইল্যান্ড সরকারকে জানিয়ে দিয়েছে। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সরকারি সূত্র এ খবর জানানোর সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদির সাক্ষাৎকারের সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা।

বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে মুহাম্মদ ইউনূস যোগ দিচ্ছেন। ওই সম্মেলন থেকেই বিমসটেকের পরবর্তী সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ দায়িত্ব গ্রহণ করবে। থাইল্যান্ডে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৩ ও ৪ এপ্রিল। থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ ও ভারত ছাড়াও এ সংগঠনের অন্য সদস্যদেশ হচ্ছে মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও ভুটান।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসে ২০২৪ সালের আগস্টে। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সে সময় মোদি তাঁকে অভিনন্দনবার্তা পাঠিয়েছিলেন। পরে দুজনের টেলিফোনে কথাও হয়েছিল। কিন্তু এখনো দুজনের সরাসরি সাক্ষাৎ হয়নি।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিয়ে নরেন্দ্র মোদির দেশে ফেরার পর অধ্যাপক ইউনূস নিউইয়র্কে গিয়েছিলেন। সেখানে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের।

তোহিদ হোসেনের সঙ্গে জয়শঙ্করের দ্বিতীয় বৈঠক হয় চলতি মাসে ওমানের মাসকটে ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলনে। সেখানে আসন্ন বিমসটেকের আসরে দুই নেতার সাক্ষাতের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।

রাজনৈতিক পালাবদলের পর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক এখনো স্বাভাবিক হয়নি। ভারত এখনো সে দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়টি বড় করে তুলে ধরছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ আপত্তি জানিয়ে আসছে, ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দেওয়া ও তাঁর রাজনৈতিক বক্তব্যে রাশ না টানা নিয়ে। হাসিনাকে দেশে বিচারের জন্য ফেরত পাঠানোর দাবিও বাংলাদেশ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে। ভারত সে বিষয়ে এখনো কোনো উচ্চবাচ্য করেনি।

এ অবস্থায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে বাংলাদেশ চায় কি না, তা তাকে আগে ঠিক করতে হবে। মুখে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার কথা বলবে অথচ সরকারেরই কেউ কেউ ভারতবিরোধী মন্তব্য করবে—দুটি একসঙ্গে চলতে পারে না।

জয়শঙ্করের ওই মন্তব্যের জবাবে তৌহিদ হোসেনও সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বলেন, বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত তারা অবশ্যই নেবে। কিন্তু ভারতকেও ঠিক করতে হবে, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে কোন ধরনের সম্পর্ক স্থাপন করতে চায়।

তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘আমাদের সিদ্ধান্ত স্পষ্ট, আমরা ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক চাই। সেই সম্পর্কের ভিত্তি হবে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও স্বার্থ।’তৌহিদ হোসেন এ কথাও জানাতে ভোলেননি, ভারতীয় আতিথেয়তায় থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী যে ধরনের কথাবার্তা বলছেন, দুই দেশের সম্পর্কের জন্য তা ক্ষতিকর। তাঁর বক্তব্য আগুনে ঘৃতাহুতি দিচ্ছে। এটা স্বীকৃত।বিমসটেকের আসরে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মুহাম্মদ ইউনূসের সাক্ষাৎকারের দিকেই আপাতত দুই দেশের দৃষ্টি নিবদ্ধ।


বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ