ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ১২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রাবাস থেকে ১০ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ২৪-০২-২০২৫ ০৫:৪৪:৫৪ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ২৪-০২-২০২৫ ০৫:৪৪:৫৪ অপরাহ্ন
​ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রাবাস থেকে ১০ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রাবাসে তল্লাশিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের উত্তেজনার ঘটনায় ১০ শিক্ষার্থীকে ছাত্রাবাস থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও পাঁচ শিক্ষার্থীর কাছে মুচলেকা চাওয়া হয়েছে। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে কলেজের ওয়েবসাইটে এ অফিস আদেশ প্রকাশ করা হয়।

কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি কলেজে উদ্ভূত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত কলেজের প্রশাসনিক কাউন্সিলে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বহিষ্কৃতরা হলেন– ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী পারিজাত মহাজন, জয় বিশ্বাস, ঋদ্ধি বড়ুয়া, আকতাব কাদির ও তার ভাই আকসাদ কাদির, রাকিবুল ইসলাম, এস এম শামারুখ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এইচ এম জাহিন মাহমুদ, নাইমুল ইসলাম ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সুস্ময় পলক।

এ ছাড়া সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল বাসেত, প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মানিক সাহা, রাকিবুল হাসান, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোকারম হোসেন এবং একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেরাব উদ্দিন চৌধুরীকে মুচলেকা দিতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘কলেজের তিন বিভাগে কমপক্ষে ৭০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। ঘটনায় সম্পৃক্ততা ও অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ওই ১০ শিক্ষার্থীকে আবাসিক  ছাত্রাবাস থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও পাঁচ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার উপযুক্ত জবাব ও মুচলেকা দিতে বলা হয়েছে।’

এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ময়মনসিংহ মহানগরের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছিলেন, কলেজে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী রয়েছেন এবং তারা ছাত্রাবাসে দেশি অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছেন। ১৭ ফেব্রুয়ারি বিকালে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও শিক্ষার্থীদের এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রাবাসে কলেজ প্রশাসন তল্লাশি চালাতে গেলে উত্তেজনা তৈরি হয়। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যদের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটি পক্ষের উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এর জেরে রাতে অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে কলেজ প্রশাসন। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।

পরদিন ১৮ ফেব্রুয়ারি একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাউন্সিলের সভায় এ ঘটনা এবং অভিযোগের বিষয় তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়। সভায় জেনারেল সায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. রফিকুল ইসলামকে প্রধান করে নয় সদস্যের এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। এরই মধ্যে বুধবার সন্ধ্যার পর কলেজ প্রশাসন ছাত্রাবাস থেকে রামদা ও দেশি অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ