পাচার হওয়া ৪০ হাজার কোটি টাকার খোঁজে দুদক
আপলোড সময় :
২৯-০৯-২০২৪ ০১:২৭:০৬ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
২৯-০৯-২০২৪ ০১:২৭:০৬ অপরাহ্ন
বাংলা স্কুপ, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪:
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে দেশ থেকে পাচার হওয়া অন্তত চল্লিশ হাজার কোটি টাকার ব্যাপারে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিগত সরকারের ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানসহ আরো অন্তত ২০০জন প্রভাবশালী ব্যক্তি এই বিপুল অর্থ দেশ থেকে সরিয়েছেন। এ ব্যাপারে গঠন করা হয়েছে একাধিক কমিটি। দুদকের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন বিশ্বব্যাংক, এডিবি ও মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের কর্মকর্তারা।
জানা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর শুধু যুক্তরাজ্যেই রয়েছে ৩৬০টি বাড়ি। যার বাজারমূল্য ৩২ কোটি ডলার। বাংলাদেশি টাকায় প্রায় চার হাজার কোটি টাকা। এর বাইরে যুক্তরাষ্ট্র ও দুবাইয়েও তাঁর সম্পদ রয়েছে। তাঁর ব্যাপারে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের অর্থনীতি লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে আরো এক প্রভাবশালী ব্যবসায়ী এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে। শুধু ইসলামী ব্যাংক থেকেই তিন হাজার কোটি টাকার বেশি আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
আর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের ৩৬ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অনুসন্ধানে দেশ-বিদেশে তথ্য নিচ্ছে দুদক।
গত সরকারের এমন অন্তত দুইশ’ প্রভাবশালীর অর্থপাচার নিয়ে কাজ শুরু করেছে দুদক। অর্থ পাচারকারীদের সুরক্ষা দেয়ার চেষ্টা ছিলো বলে মনে করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের মাধ্যমে যে দেশে পাচার হয়েছে সে দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা। সেই এখতিয়ারটা অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে সরিয়ে নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হাতে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যখন তাদের অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে তখন সেটার কোন যৌক্তিকতা থাকে না, কার্যকর হয় না। এগুলো ছিল সব উদ্দেশ্যমূলক, অর্থপাচারকারীদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য। এই অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে।
পাচার করা অর্থসম্পদের ফেরানোর প্রক্রিয়াটি জটিল বলে জানান দুদকের তদন্ত বিভাগের কমিশনার জহুরুল হক। তিনি বলেন, বিদেশে পাচারকরা অর্থ দুদক আগেও ফেরত চেয়েছে , এখনও চায়। জটিল এই প্রক্রিয়ার যে স্টেপগুলো নেয়া উচিত, সেগুলো দুদক নিচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় ও মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিচ্ছে দুদক। এ বিষয়ে সংস্থাটি সফল হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন দুদক কমিশনার।
বিশেষ প্রতিনিধি/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স