ঢাকা , রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তালতলার আগুনে নিঃস্ব কয়েকটি পরিবার

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ২৩-০২-২০২৫ ১১:৩৪:০২ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় : ২৩-০২-২০২৫ ১১:৩৪:০২ পূর্বাহ্ন
তালতলার আগুনে নিঃস্ব কয়েকটি পরিবার ফাইল ছবি
রাজধানীর খিলগাঁও তালতলার আগুনে নিঃস্ব বেশ কয়েকটি পরিবার। ওয়ার্কশপ-গ্যারেজে রাখা যানবাহন পুড়ে ছাই। এসব গাড়ি যাদের জীবিকার প্রধান সম্বল ছিল পথে বসার দশা তাদের।

সুমন ও মনি দম্পতি গাড়ি সারাতে দেন খিলগাঁও তালতলার ওয়ার্কশপে। অনেক কষ্টে কিছুটা স্বচ্ছলতা ফেরাতে কেনা এ গাড়ি এখন কয়লা, শুক্রবার রাতের আগুনে।মনি বলেন, আমরা রোববারে গাড়িটি কিনেছি। বৃহস্পতিবার কাজ করার জন্য এখানে দিয়েছিলাম আর কালকে আগুন লাগলো। সব গাড়ি সামনে ধাক্কা দিয়ে বের করা হয়েছে কিন্তু আমাদের গাড়িটি বের করেনি। সুমন বলেন, সরকারের কাছে আমার আবেদন আমি যাতে এর ক্ষতিপূরণ পাই। তাদের মতোই দশা আরেক ভুক্তভোগী নুরুল আমিনের। ধারদেনা করে ৪২ লাখ টাকায় গাড়ী কিনে রেন্ট এ কারের ব্যবসা করছিলেন তিনি। কিন্তু এখন পথে বসার অবস্থা।নুরুল আমিন বলেন, আমার সবকিছু ধ্বংস হয়ে গিয়েছে, শেষ হয়ে গিয়েছে। কি আর বলব আমি। অনেক কষ্ট করে আমি গাড়িটি কিনেছি। হাওলাদ করেছি, ঋণ করেছি, সম্পদ বিক্রি করে গাড়িটি কিনেছি।

তালতলার অগ্নিকাণ্ড ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট নিয়ন্ত্রণে আনার আগে একে একে পুড়ে যায় ১৬টি গাড়ী, ৭টি মোটরসাইকেল আর ২টি স’মিল।অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ মালিক সমিতি প্রশ্ন তুলেছে ফায়ার সার্ভিসের তৎপরতা নিয়ে। অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ২০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়ছে বলে দাবি তাদের। ওয়ার্কশপ শ্রমিকদের সহায়তায় চান সরকারের সহযোগীতা।

অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ মালিক সমিতির একজন বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট কাজ করেছে। কোন জায়গায় কাজ করেছে, কিভাবে কাজ করলো। যদি একটা মানুষের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়, ফায়ার সার্ভিস যদি এমন একটা সময় এসে কাজ করে যে আমার পুড়ে সব ছাই হয়ে গেছে তারপর ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে। অগ্নিকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের দাবিও জানান ক্ষতিগ্রস্তরা।

বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এনআইএন


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ