ঢাকা , রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীগামী বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ২২-০২-২০২৫ ০২:১৮:৫০ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ২২-০২-২০২৫ ০৩:৪৯:২৮ অপরাহ্ন
রাজশাহীগামী বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন ​ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতনের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় লুট হওয়া হওয়া তিনটি মোবাইল ফোন, একটি ছুরি ও ২৯ হাজার ৩৭০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। 

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকার সাভার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন- মানিকগঞ্জের মুহিত, শরিয়তপুরের সবুজ এবং ঢাকার শরিফ। পুলিশের ভাষ্য, তারা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান। 

তিনি বলেন, ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি ঘটনায় শুক্রবার মামলা হওয়ার পরেই আমাদের টিম মাঠে কাজ করছে। গত রাতে আমাদের একটি টিম সাভারে অভিযান চালিয়ে তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। 

সাংবাদিক সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, বাসে ডাকাতির সময় শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে, তবে ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

এদিকে ওই বাসে ডাকাতি ও দুই নারী শ্লীলতাহানির ঘটনায় অভিযোগ না নেওয়াসহ দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে নাটোরের বড়াইগ্রাম থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল ইসলামকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে। নাটোরের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন বলেন, বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানির ঘটনায় ভুক্তভোগীরা থানায় সেবা নিতে গিয়ে কাঙ্ক্ষিত সেবা পায়নি। এ কারণে তাকে প্রত্যাহার করে নাটোর পুলিশ লাইন্সে নেওয়া হয়েছে। তার দায়িত্বে অবহেলার আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

ইউনিক রোড রয়েলসের ‘আমরি ট্রাভেলসের’ যাত্রীদের ভাষ্য, রাত ১১টায় ঢাকার গাবতলী থেকে বাস ছাড়ে। রাত ১২টা ৩৫ মিনিটে বাসে ডাকাতি শুরু হয়। তিন ঘণ্টা ধরে ডাকাতি শেষে ঘুরিয়ে একই জায়গায় বাসটি নিয়ে গিয়ে রাত তিনটা ৫২ মিনিটে ডাকাতেরা নেমে যায়।

এরপর বাসের চালক, তার সহকারী ও সুপারভাইজার নানা টালবাহানা করতে থাকেন। তারা বলেন, গাড়িতে তেল নেই। অবশেষে যাত্রীদের চাপের মুখে পড়ে তারা রাজশাহীর উদ্দেশে বাস ছাড়েন। যাত্রীরা প্রথমে বাসটি নিয়ে মামলা করার জন্য টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় যান। সেখানে তখন ওসি ছিলেন না বলে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার পরে বাসটি বড়াইগ্রামে থানায় ঢোকানো হয়।

ডাকাতির ঘটনায় বাসের সুপারভাইজার, চালক ও চালকের সহকারীকে আটক করে পুলিশ। পরে তারা জামিনে মুক্তি পান। 

নাটোরের বড়াইগ্রাম আমলি আদালত সূত্রে জানা যায়, বড়াইগ্রাম থানার এসআই শরিফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চালানমূলে ঢাকা-রাজশাহী চলাচলকারী ইউনিক রোড রয়েলস বাসের চালক বাবলু ইসলাম (৩৫), চালকের সহকারী সুমন ইসলাম (৩৫) ও সুপারভাইজার মাহবুব আলমকে (৩৮) বুধবার বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়। সন্ধ্যায় তাদের আদালতের সামনে হাজির করলে আদালত শুনানি শেষে জামিনের আদেশ দেন।

এ ঘটনায় শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে ওই বাসের যাত্রী বড়াইগ্রাম উপজেলার ওমর আলী বাদি হয়ে মির্জাপুর থানায় মামলা (নং-১৭, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন) করেছেন বলে জানিয়েছেন মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোশারফ হোসেন।

বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ