ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​হত্যাকারীদের বিচার ছাড়া কীভাবে সংস্কার করবেন: উপদেষ্টাদের রিজভী

আপলোড সময় : ২৮-০৯-২০২৪ ০৫:৫২:২২ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ২৮-০৯-২০২৪ ০৫:৫২:২২ অপরাহ্ন
​হত্যাকারীদের বিচার ছাড়া কীভাবে সংস্কার করবেন: উপদেষ্টাদের রিজভী ​ফাইল ফটো
বাংলা স্কুপ, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪: 
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের উদ্দেশ্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, যারা ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে তাদের বিচার করা ছাড়া কীভাবে আপনারা সংস্কার করবেন। প্রশাসন, বিচার বিভাগ সংস্কারের প্রস্তাব করেছেন আপনারা। শেখ হাসিনার দোসররা থাকা অবস্থায় তা কীভাবে সংস্কার করবেন?
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে  দক্ষিণখানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত শহীদ জাহিদুজ্জামান তানভীরের পরিবারকে সমবেদনা জানানো শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, বিচার বিভাগ পুলিশ প্রশাসনে শেখ হাসিনার দোসররা রয়েছে, তারাই তো লাশের পাহাড় গড়েছে। তারা এখনো আছে। তারা কী সংস্কার করবে? তারা তো প্রতি পদে পদে বাঁধা দেবে। তারা তো সুবিধাভোগী। তারা শেখ হাসিনার আস্থাভাজন। শেখ হাসিনা তাদের লালন পালন করেছে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, মাফিয়া সন্ত্রাসী টাকা পাচার এমন কিছু নেই যে শেখ হাসিনা করেনি। এখন সময় এসেছে এসব সংস্কার করার। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগুলো এখানে তো নির্বাচন হয়নি। শেখ হাসিনার আমলে তো কোনো নির্বাচনই হয়নি। স্থানীয় নেতা বা সংসদ সদস্যকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে চেয়ারম্যান হয়েছেন। এরা থাকলে দেশে তো সংস্কার হবে না। অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্য বলি অবিলম্বে এদের বাতিল করুন তা না হলে সংস্কারের কাজ এগিয়ে যেতে পারবেন না। শেখ হাসিনার দোসরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে ছাত্র-জনতার রক্ত বৃথা হয়ে যাবে।
প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের উদ্দেশ্যে বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, ভারত আমাদের পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র। তাদের কাছে কেন আমাদের মাথা নত করতে হবে? ভারতের বিরুদ্ধে কথা বললে এদেশে যারা আওয়ামী লীগের দোসর আছে তারা ক্ষুব্ধ হয়। এত মানুষ হত্যা করলো শেখ হাসিনার পুলিশ বাহিনী। সেই শেখ হাসিনাকে ভারত আশ্রয় দিয়েছে। ভারত যদি আমার দেশের অন্যায়কারীকে আশ্রয় দেয় প্রশ্রয় দেয় তাহলে কী আমার অধিকার নেই দিল্লির বিরুদ্ধে কথা বলার? দশকের পর দশক ধরে তারা বাংলাদেশের সীমান্তে বাংলাদেশিদের ওপর গুলি চালিয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে রক্তাক্ত সীমান্ত হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত।
এসময় বিএনপি নেতা কফিল উদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম, বিএনপি নেতা এ বি এম রাজ্জাক, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মনির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ডেস্ক/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ