ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫ , ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুয়েটে ধারালো অস্ত্র হাতে এরা কারা

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ১৯-০২-২০২৫ ১০:৩৫:৫৭ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় : ১৯-০২-২০২৫ ১২:১০:১৯ অপরাহ্ন
কুয়েটে ধারালো অস্ত্র হাতে এরা কারা সংবাদচিত্র: সংগৃহীত
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্ররাজনীতি ঘিরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে অস্ত্র হাতে কিছু যুবককে দেখা গেছে। এদের প‌রিচয় তাৎক্ষণিকভাবে নি‌শ্চিত হওয়া না গেলেও তারা ছাত্রদের ওপর বেশ মারমুখী ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলাকারীদের কয়েকজনকে ধরালো অস্ত্র হাতে দেখা গেছে। এ রকম কিছু ছ‌বি সোশ্যাল মি‌ডিয়ায় প্রকাশ হয়েছে। ছবিতে দেখা যায়, একজনের মুখে গামছা পেঁচানো এবং হাতে ধারালো রামদা। আরেকটি ফুটেজে দুজনকে হাতে ধারালো চাইনিজ কুড়াল, অপরদিকে দেখা গেছে একজন ওপরে ইশারা করছে ধারালো অস্ত্র হাতে।পুলিশ, স্থানীয় লোকজনের তথ্যে জানা গেছে, অস্ত্র হাতে নিয়ে কুয়েট এলাকায় মহড়া দেওয়া একজন হলেন মাহবুবুর রহমান। তিনি যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে জানা গেছে। অন্যদের পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।

এদিকে, মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির দফতর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বার্তায় বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলাপরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে খুলনা জেলা শাখার দৌলতপুর থানা যুবদলের সহসভাপতি মাহবুবুর রহমানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত নেতৃবৃন্দের কোনও অপকর্মের দায়দায়িত্ব দল নেবে না। যুবদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তার (মাহবুব) সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। যুবদল সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন ইতোমধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।

কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় মঙ্গলবার। পরে রেলিগেট, তেলিগাতিসহ আশপাশের বিএনপি নেতাকর্মীরা ছাত্রদলের সঙ্গে এবং সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দেয়। এতে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়। মঙ্গলবার দুপুর থেকে ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হয়। আহতদের বেশিরভাগকেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, কুয়েট মেডিক্যাল সেন্টারসহ আশপাশের বেসরকারি ক্লিনিকে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফুলবাড়িসহ আশপাশের এলাকায় মোতায়ন করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ সেনা, নৌ, র‌্যাব, বিজিবি ও পুলিশ।এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাতে শিববাড়ি মোড়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাও রাতে ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করেন।

বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ