দৃষ্টিহীনদের স্টলেই সবার দৃষ্টি!
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
১৭-০২-২০২৫ ০১:৫৬:৫৭ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
১৭-০২-২০২৫ ০১:৫৬:৫৭ অপরাহ্ন
ছবি: সংগৃহীত
অমর একুশে বইমেলায় স্থান পেয়েছে দুটি ব্যতিক্রম স্টল। যা দর্শনার্থীদের নজর কাড়ছে। কারণ শুধু বই বিক্রি নয়, দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা যে পড়তেও পারেন; সে তথ্য জানাতেই মেলায় স্টল নিয়েছে ‘স্পর্শ ব্রেইল প্রকাশনী’ ও ‘বি-স্ক্যান’। এরমধ্যে ‘বি-স্ক্যান’ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ছাড়াও অন্যান্য বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষদের জন্য তাদের স্টল সাজিয়েছে।
বইমেলার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে দেখা যায়, মেলায় আসা দর্শনার্থীদের মধ্যে কৌতুহল জাগাচ্ছে স্টল দুটি। স্টল দুটিতে ‘দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মানুষদের বই পড়া’র কথা শুনে অবাক হচ্ছেন অনেকেই। কেউ কেউ জানার চেষ্টা করছেন ব্রেইল বই পড়ার পদ্ধতি, আবার কেউ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শুনছেন বই পড়া। মানুষের এধরনের কৌতুহল মিটিয়ে আত্মতৃপ্তির হাসি স্টল দুটির প্রতিনিধিদের মুখে।
কথা বলে জানা যায়, স্পর্শ ফাউন্ডেশনের ‘স্পর্শ ব্রেইল প্রকাশনা’ ২০১১ থেকে বইমেলায় বই প্রকাশ করে। তারা প্রতিবছর বই প্রকাশ করে। এ বছর তারা আটটি বই প্রকাশ করেছে। এগুলোর সবই দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের ফ্রিতে দিচ্ছেন তারা। এর জন্য ফ্রিতে রেজিস্ট্রেশন করতে হয় আগ্রহীদের। এ বছর তারা আটটি বই প্রকাশ করেছে স্পর্শ ব্রেইল প্রকাশনা।
কথা হয় স্টলটির প্রতিনিধি ও দৃষ্টিজয়ী তুহিনের সঙ্গে। পেশায় একজন ভয়েস আর্রটিস্টও তিনি। তুহিন বলেন, এখনও পর্যন্ত ১২৪টি বই প্রকাশ করেছে স্পর্শ। বিভিন্ন ধরনের বই যেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা পড়তে পারেন, এজন্য আমাদের আয়োজন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, সৈয়দ শামসুল হক, মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, হুমায়ুন আহমেদ ও সেলিনা হোসেনসহ অনেক লেখকের বই তারা ব্রেইলে রূপান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দৃষ্টি প্রতীবন্ধীদের পড়ার সুযোগ তৈরির পাশাপাশি তারা যে পড়তে পারে আমরা সবাইকে এই বিষয়ে সচেতন করতে চাই। মেলায় আমাদের মতো যারা আসে তারা ব্রেইল বউ পড়ে। পাশাপাশি দর্শনার্থীরাও সচেতন হয় দৃষ্টি প্রতীবন্ধীদের নিয়ে।
স্টলে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন বলেন, মেলায় সাধারণত সাহিত্যের বই পড়ি আমরা। তবে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য এমন আয়োজন প্রশংসনীয়। ব্রেইল বই সম্পর্কে জানতাম, তবে কীভাবে এটা পড়তে হয়, জানতাম না। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরাও যে সাহিত্যের রস আহরণ করতে পারবে জেনে ভালো লাগছে।
অপর স্টল বাংলাদেশ সোসাইটি ফর দ্যা চেঞ্জ অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি নেক্সাস (বি-স্ক্যান) স্টলের প্রতিনিধি রুমা বলেন, আমরা এবারই প্রথম বইমেলাতে এসেছি। মূলত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ও অন্য বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষদের প্রতি সচেতনা তৈরি করতে আমরা কাজ করছি।
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এনআইএন/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স