ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫ , ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

​রোজার আগেই উধাও তেল!

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ১৪-০২-২০২৫ ০৪:০৪:২৫ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১৪-০২-২০২৫ ০৬:১৬:৫৯ অপরাহ্ন
​রোজার আগেই উধাও তেল! ​সংবাদচিত্র : ফোকাস বাংলা নিউজ
দুয়ারে কড়া নাড়ছে সংযমের মাস পবিত্র রমজান। কিন্তু, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে সংযম নেই ব্যবসায়ীদের। সবজি ছাড়া অন্যান্য নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্য আগের মতোই আছে, কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। চাল ও তেলে মিলছে না সুখবর। রোজার আগেই বাজার থেকে উধাও হয়ে গেছে ভোজ্য তেল। 

বিক্রেতারা বলছেন, রমজানকে সামনে রেখে বড় কোম্পানিগুলো আরেক দফায় দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে। কিন্তু, সরকারের কঠোর নীতির কারণে এখনো দাম বাড়াতে না পারলেও সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর নিউ মার্কেট ও কারওয়ান বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলোতে ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট এখনো কাটেনি। আগের বাড়তি দামেই আটকে আছে চালের বাজার।

বাজারে এখন প্রতি কেজি মিনিকেট চাল ৮০ থেকে ৮৪ টাকা, ব্রি-২৮ চাল ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, মোটা স্বর্ণা চাল ৫২ থেকে ৫৫ টাকা, নাজিরশাইল চাল ৭৬ থেকে ৮৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি চিনিগুড়া পোলাও চাল বিক্রি হচ্ছে ১১৬ থেকে ১১৮ টাকায়।

খুচরা বাজারে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকায়, প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ও পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে ১৫৭ টাকায়। ২ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায় এবং বোতলজাত ৫ লিটার সয়াবিন তেলে বিক্রি হচ্ছে ৮৬০ টাকায়। 

এদিকে, সরকার সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে গত সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে বোতলজাত সয়াবিন তেলসহ পাঁচটি পণ্য বিক্রি করছে।

টিসিবির ট্রাক থেকে এক জন ভোক্তা সর্বোচ্চ ২ লিটার সয়াবিন তেল, ২ কেজি করে মসুর ডাল ও ছোলা, ১ কেজি চিনি এবং ৫০০ গ্রাম খেজুর কিনতে পারবেন। এর মধ্যে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম রাখা হবে ১০০ টাকা। প্রতি কেজি চিনি ৭০ টাকা, মসুর ডাল ও ছোলা ৬০ টাকা করে এবং খেজুর প্রতি কেজি ১৫৬ টাকায় পাওয়া যাবে।

রাজধানীর হাজারীবাগ কাঁচাবাজারে কেনাকাটা করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, “রমাজান মাস চলে আসছে। এখনো কোনো প্রস্তুতি নিতে পারিনি। বাজারে সবজি বাদে সবকিছুর দাম আগের মতোই বাড়তি। আমাদের দেশে ব্যবসায়ীরা রমজানকে মুনাফা লাভের মাস মনে করে সবকিছুর দাম বাড়িয়ে দেন। রমজান মাসকে সামনে রেখে সরকারের উচিত বেশি বেশি বাজার তদারকি করা।”

রাজধানীর নিউ মার্কেটের মুদি ব্যবসায়ী আরিফ হোসেন বলেছেন, “রমজানের আর বেশি দেরি নেই। কিন্তু, মুদি পণ্যের দাম কমার সম্ভাবনা দেখছি না, বরং তেলসহ কিছু পণ্যের দাম বাড়ার আশঙ্কা আছে। আমরা মূলত পাইকারদের কাছ থেকে যে দামে কিনি, তার থেকে সামান্য লাভ করে বিক্রি করে দিই। দাম বাড়ানো এবং কমানোর মধ্যে আমাদের কোনো হাত নেই।”

 
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এনআইএন/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ