ঢাকা , শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​বসন্ত-ভালোবাসার ছোঁয়া লেগেছে বইমেলায়

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ১৪-০২-২০২৫ ০৩:৪২:০৭ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১৪-০২-২০২৫ ০৩:৪২:০৭ অপরাহ্ন
​বসন্ত-ভালোবাসার ছোঁয়া লেগেছে বইমেলায় ​ছবি: সংগৃহীত
একদিকে প্রকৃতি জানান দিচ্ছে ঋতুরাজ বসন্ত আগমনের অন্যদিকে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। বাঙালির মনে অন্যতম রোমান্টিক এই দিনের ছোঁয়া লেগেছে অমর একুশে গ্রন্থমেলাতেও। বসন্ত আর ভালোবাসা রঙ মিশে রঙিন হয়ে উঠেছে বইমেলার বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গন।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বসন্ত ও ভালোবাসার দিনে বইমেলা ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে তেমন মানুষের আনাগোনা না থাকলেও, সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে মানুষের কোলাহল। দিনটিকে উপভোগ্য করতে হলুদ, বাসন্তী ও লাল রঙের পোশাকে নিজেদের মোহনীয় সাজে সাজিয়েছে নানান শ্রেণী-পেশার মানুষ। বিশেষ করে তরুণ-তরুণীদের উপস্থিতিই ছিল বেশি। কিশোরী ও তরুণীদের মাথায় শোভা পেতে দেখা গেছে ফুলের রিং। আর হাতে হাতে ঘুরতে দেখা গেছে ভালোবাসার প্রতীক গোলাপ। বসন্ত-ভালোবাসার সঙ্গে বইয়ের রাজ্যে তাদের রসায়ন জমেছে বেশ। শুধু দর্শনার্থীরাই নয়, বাসন্তী সাজে নিজেদের রাঙিয়ে তুলেছিলেন স্টলগুলোর  বিক্রয়কর্মীরাও।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অদ্রিতা ঘুরতে এসেছেন বন্ধুদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বসন্ত ও ভালোবাসা দিবস একদিনে হওয়ার কারণে ১৪ ফেব্রুয়ারি অন্যতম আবেদনের একটি দিন। বসন্তের কারণে যেখানে প্রকৃতি রঙিন হয়ে উঠছে সেদিন নিজেকে রঙিন সাজ না সাজালে ভালো লাগে না। একারণে বসন্তের রঙ হলুদ রঙের শাড়ি পড়ে বন্ধুদের সঙ্গে মেলা ঘুরতে এসেছি।’

এদিকে ছুটির দিন হওয়ায় সকাল থেকেই জমে উঠেছে শিশু চত্বর। বসন্ত আর ভালোবাসার দোলা লেগেছে শিশুদের মাঝেও। অভিভাবকদের সঙ্গে হলুদ ও লাল পোশাকে তারাও এসেছে মেলা ঘুরতে। এদিন সকালে পাপেট থিয়েটর শিশুদের জন্য পাপেট শোয়ের আয়োজন করে।

মোহাম্মদপুর থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে ঘুরতে এসেছেন দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী ফারহান। তিনি বলেন, ‘মেলায় আসতে ভালো লাগে। আজ পহেলা ফাল্গুন তাই হলুদ রঙের পাঞ্জাবি পড়েছি। ঘুরে ঘুরে বই দেখছি এখনও কোনও বই পছন্দ হয়নি।’

এদিকে বসন্ত ও ভালোবাসা দিবস ঘিরে বই বিক্রি বেশি হওয়ার প্রত্যাশা ছিল প্রকাশনীগুলোর। তবে দুপুর পর্যন্ত আশানুরূপ বেচাকেনা হয়নি বলে জানান তারা। বিকালে বই বিক্রি বাড়বে এমনটায় প্রত্যাশা তাদের।

অক্ষর প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী ইব্রাহিম বলেন, ‘বসন্ত ও ভালোবাসার দিনে বিক্রি বেশি হবে স্বাভাবিকভাবে এমনটায় প্রত্যাশা থাকে আমাদের। তবে এখনও বিক্রি তেমন হয়নি, পাঠকও কম। আশা করছি বিকালে উপস্থিতি ও বিক্রি বাড়বে।’

বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এনআইএন/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ