প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ছিল আয়নাঘর, সব খুঁজে বের করা হবে : প্রেস সচিব
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
১২-০২-২০২৫ ০৪:৫০:১২ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
১২-০২-২০২৫ ০৪:৫০:১২ অপরাহ্ন
ছবি: সংগৃহীত
প্রত্যন্ত অঞ্চলেও আয়নাঘর ছিল জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, বাংলাদেশে যত আয়নাঘর আছে সব খুঁজে বের করা হবে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে এক বিফ্রিংয়ে এ কথা জানান তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশে যত আয়নাঘর আছে সব খুঁজে বের করা হবে। এটা ঢাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না, প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ছিল।
প্রেস সচিব বলেন, গুম কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী এবং নিরাপত্তা বাহিনী যে তদন্ত করছে তার ভিত্তিতে ধারণা করা যায় যে সারাদেশে ৭০০-৮০০ আয়নাঘর আছে এবং এটা আরও বের হচ্ছে। তাতে বোঝা যাচ্ছে যে এটি শুধু ঢাকায় সীমাবদ্ধ ছিল না, প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছিল। হিউম্যান রাইট ওয়াচের প্রতিবেদনে স্পষ্ট লেখা আছে, গুম ও খুনের সঙ্গে পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা জড়িত ছিল, তার নির্দেশেই এগুলো হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা তিনটি লোকেশনের আয়নাঘর পরিদর্শন করি। তার মধ্যে দুটি র্যাবের আর একটি ডিজিএফআইর। সেখানে কীভাবে রাখা হতো, নির্যাতন করা হতো, কীভাবে দিন কাটিয়েছেন, কেউ কেউ সেখানে ৭-৮ বছর কাটিয়েছেন, তার বর্ণনা আসলে প্রকাশ করার মতো না। এই পরিদর্শনে এগুলো প্রকাশ পায়। প্রধান উপদেষ্টা প্রতিটা স্পটে গিয়েছেন। সেখানে যারা বন্দি ছিলেন তারা তাদের সঙ্গে হওয়া ঘটনাগুলো প্রধান উপদেষ্টাকে বর্ণনা করেছেন। আমরা সেখানে সবাইকে নিতে পারিনি, এজন্য আমরা অত্যন্ত দুঃখিত। আমরা বিটিভির মাধ্যমে সবগুলো ভিডিও করেছি। আমাদের সঙ্গে শুধু দুটি মিডিয়া আউটলেট ছিল।
প্রেস সচিব বলেন, আমরা যে জায়গাগুলোতে গেলাম সেই জায়গাগুলো খুবই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রুম। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে ইট ভেঙে প্যাসেজ তৈরি করা হয়েছে। পুরো বিষয়টা আসলে লজিস্টকলি সাপোর্টের। আমাদের আইডিয়া ছিল, আমরা বিটিভি থেকে দুটি ক্যামেরাম্যান নিয়েছি, পিআইডি থেকে একজন ফটোগ্রাফার নিয়েছি। আমাদের নিজস্ব প্রেস উইংয়ের একজন ফটোগ্রাফার ছিলেন। এছাড়া নিয়েছি আলজাজিরা ও নেত্র নিউজকে। আয়নাঘরের বিষয়ে নেত্র নিউজের যথেষ্ট অবদান আছে। তারা এটা নিয়ে প্রতিবেদন করেছিল, তাই তাদেরকে নিয়েছি। একজন সাংবাদিকও ছিলেন। এর বাইরে আমরা নিতে পারিনি। আসলে লজিস্টিকলি খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল।
আলামত নষ্ট করার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আলামত নষ্ট করা হয়েছে কি হয়নি সেটা গুম কমিশন দেখছে। যে কেসগুলো হচ্ছে সেগুলো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটিউররাও দেখছেন। প্রত্যেকটা আয়নাঘর এভিডেন্স হিসাবে সিলগালা করা থাকবে। কারণ, আমাদের লিগ্যাল প্রসেসে এগুলো সময় লাগবে। গুম কমিশন বলবে আদৌ নষ্ট হয়েছে কি হয়নি। কিছু কিছু জায়গা দেখেছি যে প্লাস্টার করা হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় রুম ছোট ছিল, দেয়াল ভেঙে বড় দেখানো হয়েছে। একটা ইচ্ছাকৃত, ইচ্ছাকৃত না সেটা গুম কমিশন এবং আন্তর্জাতিক অপরাধে ট্রাইব্যুনাল বিচার করবেন।
বিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, অপূর্ব জাহাঙ্গীর, সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহমদ ও সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এনআইএন/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স