পানি সংকটে নাকাল পিরোজপুর পৌরবাসী
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
১০-০২-২০২৫ ১২:৪২:২৭ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
১০-০২-২০২৫ ১২:৪২:২৭ অপরাহ্ন
সংবাদচিত্র: সংগৃহীত
নদী শুকিয়ে যাওয়ায় তীব্র পানি সংকটে পড়েছে পিরোজপুর পৌরসভার ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট কর্তৃপক্ষ। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পৌরসভায় বসবাসকারী দুই লক্ষাধিক মানুষ। দিনে দুই বেলা দুই ঘণ্টা পানি দেয়ার কথা থাকলেও এক ঘণ্টাও মিলছে না পানি। মাঝে মাঝে একদিন পর একদিন পানি দেয়া হচ্ছে। ফলে তীব্র পানির সংকটে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এখানকার জনজীবন।
নদী শুকিয়ে যাওয়ায় তীব্র পানি সংকটে পড়েছে পিরোজপুর পৌরসভার ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট কর্তৃপক্ষ। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পৌরসভায় বসবাসকারী দুই লক্ষাধিক মানুষ। দিনে দুই বেলা দুই ঘণ্টা পানি দেয়ার কথা থাকলেও এক ঘণ্টাও মিলছে না পানি। মাঝে মাঝে একদিন পর একদিন পানি দেয়া হচ্ছে। ফলে তীব্র পানির সংকটে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এখানকার জনজীবন।জেসমিন বেগম, দুই সন্তানের জননী। পিরোজপুর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। আধা কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে এসেও পানি না পেয়ে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে তাকে। সুপেয় পানির চিন্তায় উদগ্রীব তিনি। এ চিন্তা শুধু জেসমিন বেগমের নয়, পিরোজপুর পৌরসভার অধিকাংশ পরিবারের সমস্যা একই রকমের। গত কয়েক মাস ধরে পানির সমস্যা চরম আকার ধারণ করেছে এখানে।
সাহেদ শেখ, পিরোজপুর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তিনি অভিযোগ করে বলেন, কয়েক বছর ধরে পানির সমস্যা চরম আকার ধারণ করেছে। কর্তৃপক্ষ উদাসীন হওয়ার কারণে তারা ঠিকমতো পানি পান না। প্রতিদিন সকাল-বিকাল এক ঘণ্টা করে মোট দুই ঘণ্টা পানি দেয়ার কথা থাকলেও সকাল-বিকাল দুইবারে সর্বোচ্চ ৫০ মিনিট পানি পাওয়া যায়। পানির জন্য জীবন অচল হয়ে গেছে তাদের। পানির সংকটের জন্য তারা ঠিকমতো গোসল করতে পারেন না, রান্নাবান্না করতে পারেন না। পানির অভাবে এলাকা ছাড়ছেন মানুষ।পিরোজপুর পৌরসভার পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন সহকারী প্রকৌশলী মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘নদী শুকিয়ে যাওয়ায় পানি সরবরাহে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। আশা করি নদী পুনঃখননের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে।’
পিরোজপুর দেড়শ বছরের পুরাতন পৌরসভা হলেও জেলার মর্যাদা পায় ১৯৮৭ সালে। ২০০ বছর আগেও পিরোজপুরের জনগণকে সুপেয় পানি সরবরাহের জন্য বিভিন্ন এলাকায় নির্ধারিত পুকুর ও নলকূপ ছিল। সময়ের ব্যবধানে জনগণের চাহিদা পূরণের জন্য পিরোজপুর জনস্বাস্থ্য বিভাগ ১৯৮৩ সালে সুপেয় পানির জন্য চালু করে পানি শোধনাগার। সেখান থেকে শুরু করা হয় পানি সরবরাহ।শুরুতে প্রতি ঘণ্টায় উৎপাদন হত প্রায় ৫০ হাজার লিটার। সময়ের ব্যবধানে উৎপাদন বেড়ে আড়াই থেকে তিন লক্ষ লিটারে দাঁড়ালেও চাহিদার তুলনায় তা খুবই সামান্য। ফলে চাহিদার পানি পরিশোধনে অক্ষম কর্তৃপক্ষ।
পিরোজপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. বনি আমিন বলেন, এ মৌসুমে নদী, খাল-বিল শুকিয়ে যাওয়ায় পানির সরবরাহ কমে যায়। ফলে দেখা দেয় পানির সংকট। পানির সমস্যার সমাধানে নেয়া হয়েছে উদ্যোগ। চলছে একটি প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের প্রক্রিয়া। পিরোজপুর পৌরসভার দুই লক্ষাধিক বাসিন্দার জন্য প্রতি ঘণ্টায় ১০ লক্ষ লিটার পানির চাহিদা রয়েছে। আর উৎপাদন হচ্ছে মাত্র আড়াই থেকে তিন লক্ষ লিটার।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স