ঢাকা , বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্বের প্রথম পারমাণবিক ফিউশন বিদ্যুৎকেন্দ্র বানাবে হেলিয়ন

ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় : ০৩-০২-২০২৫ ১২:০৬:৫৪ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ০৩-০২-২০২৫ ১২:০৬:৫৪ অপরাহ্ন
বিশ্বের প্রথম পারমাণবিক ফিউশন বিদ্যুৎকেন্দ্র বানাবে হেলিয়ন
হেলিয়ন বলছে, ২০২৮ সালের মধ্যে বিশ্বের প্রথম পারমাণবিক ফিউশন বিদ্যুৎকেন্দ্র বানাবে তারা। এ জন্য মাইক্রোসফটের সঙ্গে একটি চুক্তিও করেছে কোম্পানিটি। নিউক্লিয়ার ফিউশনকেন্দ্রিক এক স্টার্টআপ এমন এক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা এর আগে কখনও ঘটেনি। এতে পরবর্তী প্রজন্মের শক্তির উৎস ব্যবহৃত হবে বলে দাবি কোম্পানিটির।

এ প্রকল্পের জন্য প্রায় সাড়ে ৩২ কোটি ডলারের তহবিলও সংগ্রহ করেছে ওপেনএআই প্রতিষ্ঠাতা স্যাম অল্টম্যানের সুনজরে থাকা ‘হেলিয়ন এনার্জি’ নামের এ স্টার্টআপ। তহবিল সংগ্রহ নিয়ে ঘোষণার আগে এ সপ্তাহে ওয়াশিংটনের এভারেটে সর্বশেষ প্রোটোটাইপ দেখিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানিটি।

এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে রয়েছেন অল্টম্যান। এর আগে তিনি বলেছিলেন, ভবিষ্যতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জন্য অনেক বিদ্যুতের প্রয়োজন হবে, যা কেবল তৈরি হতে পারে পারমাণবিক ফিউশন থেকে। চ্যাটজিপিটি প্রধান গত বছর বলেছিলেন, ‘আর্টিফিশিয়াল জেনারেল ইনটেলিজেন্স’ বা এজিআই তৈরিতে ‘বিদ্যুৎ পাওয়ার বিষয়টি সবচেয়ে কঠিন কাজ’। এজিআই এমন এক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যার সম্ভাবনা রয়েছে মানুষের বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার।

পরিবেশবান্ধব উপায়ে প্রায় সীমাহীন বিদ্যুৎ তৈরির পথ হচ্ছে নিউক্লিয়ার ফিউশন। এতে সূর্যে ঘটা প্রক্রিয়ার অনুকরণ ঘটে। পরিবেশবান্ধব ও সীমাহীন, এ দুই কারণে এরইমধ্যে এটি শক্তি আহরণের ‘হোলি গ্রেইল’ বলে স্বীকৃত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট।

বাণিজ্যিক প্রয়োগের আগে নতুন শ্রেণির এ শক্তির উৎসটির অনেক অগ্রগতির প্রয়োজন হবে। কিছু বিজ্ঞানী বলছেন, এর বাস্তবায়ন ঘটতে কয়েক দশকও লাগতে পারে। চ্যালেঞ্জের পরও হেলিয়ন দাবি করেছে, ২০২৮ সালের মধ্যে বিশ্বের প্রথম পারমাণবিক ফিউশন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করবে তারা। এ জন্য মাইক্রোসফটের সঙ্গে একটি চুক্তিও নিশ্চিত করেছে কোম্পানিটি।

হেলিয়ন এনার্জি ৫০ মেগাওয়াটের পারমাণবিক ফিউশন বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরির পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব শক্তির দিকে রূপান্তরকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে– এমন শর্তে ২০২৩ সালে স্টার্টআপটির সঙ্গে চুক্তি করে মার্কিন সফটওয়্যার জায়ান্ট মাইক্রোসফট। সবশেষ তহবিল নিয়ে স্টার্চআপটির মূল্য এখন পাঁচশ ২০ কোটি ডলার। কোম্পানির প্রধান নির্বাহী ডেভিড কার্টলি বলেছেন, “স্টার্টআপটির প্রযুক্তির বিকাশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তা করবে এই অর্থ।” “এখনও অনেক কাজ করা বাকি। আমাদের দলটি এমন কিছু করার জন্য নিজেদের কাজ অব্যাহত রাখবে, যা আগে কেউ করেনি।”

বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন
 
 


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ