কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মেঘনা নদীর পাড়ে হঠাৎ আবারও নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে অটো রাইস মিল, ডকইয়ার্ড ও ভৈরব বাজার। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) রাত ৭টার দিকে নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার স্লোগতিতে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।

ভাঙনে নদীর তীরবর্তী প্রায় ২ শ মিটার ভূমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। খবর পেয়ে রাতেই  ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শবনম শারমিন। তবে ভাঙন এলাকা থেকে একটি ড্রেজারসহ দুইজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা।

বিআইডব্লিউটিএ  জানান, জনতা সন্দেহ হওয়ায় তাদের আটক করেছে। আটক ড্রেজারটি আনলোড ড্রেজার, এটি দিয়ে বালি উত্তোলন  সম্ভব নয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার রাত ৭টা থেকে ভাঙন শুরু হয়েছে। এ নদী ভাঙনের ফলে ভৈরব বাজারসহ পার্শ্ববর্তী অটো রাইস মিল, ডকইয়ার্ড এতে হুমকির মুখে পড়েছে। দ্রুত জিও ব্যাগ ফেলে ব্যবস্থা না নিলে কোটি কোটি টাকার ক্ষতির আশঙ্কার রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার শবনম শারমিন রাতেই নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি ভাঙনরোধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছেন এবং এবিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানান।

এ বিষয়ে  কিশোরগঞ্জ জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন জানান, ভাঙন রোধে অস্থায়ীভাবে জিও ব্যাগ ফেলা হবে।

উল্লেখ্য, গত ৮ সেপ্টেম্বর মেঘনা নদীর ডিপোঘাট এলাকায় নদী ভাঙনে ১৫/২০ টি বসত ঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। অল্পের জন্য মেঘনা ও যমুনা ২ টি জ্বালানি তেলের ডিপো রক্ষা পায়। 

স্থানীয়দের দাবি, ভাঙন রোধে স্থায়ী বেড়িবাঁধ করা না হলে যে কোনো সময় মেঘনা গর্ভে ভৈরববাজার, দুটি রেল সেতু. একটি সড়ক সেতুসহ কেপিআই এলাকা বিলীন হয়ে যাবে। তাই অচিরেই স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের  দাবি জানান তারা।

বাংলা স্কুপ/ প্রতিনিধি/ এসকে