ঢাকা , শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​জমে উঠেছে মধুমেলা

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ২৭-০১-২০২৫ ০৫:০৩:৫৯ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ২৭-০১-২০২৫ ০৫:০৩:৫৯ অপরাহ্ন
​জমে উঠেছে মধুমেলা ​ছবি: সংগৃহীত
যশোরের কেশবপুরে হাজার হাজার মানুষের আগমনে প্রাণের উচ্ছ্বাসে জমে উঠেছে সাগরদাঁড়ির মধুমেলা। কপোতাক্ষ পাড়ের এ বৃহৎ মেলা এখন মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। আধুনিক বাংলা কাব্যের রূপকার অমিত্রাক্ষর ছন্দের জনক ও সনেট প্রবর্তক মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী মধুমেলা ২৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে। চলবে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত।

মেলা কর্তৃপক্ষ জানায়, হাজার-হাজার মধুপ্রেমীদের পদচারণায় মুখরিত মেলা প্রাঙ্গণ। মধুমেলা মাঠে কঠোর নিরাপত্তা রয়েছে। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। উন্মুক্ত মধুমঞ্চে প্রতিদিন চলছে আলোচনাসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাটক ও যাত্রাপালা।

জানা যায়, মেলাকে আকর্ষণীয় করে তুলতে থাকছে বিজ্ঞানভিত্তিক কৃষি মেলা, সার্কাস, যাত্রা, জাদু, পুতুলনাচ, মৃত্যুকূপ, রকমারি স্টলসহ ১৫৭টি বড় স্টল। এ ছাড়া বিভিন্ন খাবারের দোকানসহ শত শত ছোট ছোট বিভিন্ন পসরার দোকান। হস্তশিল্প ও শিশুদের বিনোদনের সকল ব্যবস্থা রাখাও হয়েছে। প্রতিদিন মধুমঞ্চে থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কবির জীবনীর ওপর আলোচনা। মেলার মাঠে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে শিশুদের খেলনা ও বিভিন্ন সৌখিন-শোপিস জাতীয় দ্রব্যাদি। বসে নেই চুড়ি, ফিতেসহ নারীদের সাজসজ্জার পসরা সাজিয়ে বসেছে কসমেটিকস দোকানিরা। রেশমি চুরি, নাকের ফুল, কানের দুল আর গলার মালার বাহারি প্রদর্শনী আকৃষ্ট করছে বলে জানান ঘুরতে আসা প্রত্যয়ী, সমৃদ্ধি ও পূর্ণতা।

মেলায় ঘুরতে আসা লেখক ও কবি তাপস মজুমদার বলেন, মধুমেলায় কবির বসতভিটা, কপোতাক্ষ নদ পাড়, বিদায়ঘাট, কবির স্মৃতিবিজড়িত বুড়ো কাঠবাদাম গাছতলা ও মধুমেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে খুবই ভালো লেগেছে। মেলায় ঘুরতে আসা মঞ্জুরুল হোসেন ডাবলু বলেন, মেলার পরিবেশ খুব ভালো লেগেছে।

দেখা যায়, মেলায় মিষ্টি, মণ্ডা মিঠাই দোকানিদেরও বিরাম নেই। হরেক সাইজের, বাহারি নামে মিষ্টিতে ঠাসা যেন দোকানগুলো। এক দেড় কেজি ওজনের একএকটি রসগোল্লা ৪-৫ জন ভাগ করে খাচ্ছে।
মেলার মাঠের স্টলগুলোতে দর্শনার্থীদের ভিড়ও বাড়ছে। তবে হাজারও মানুষের আগমন ঘটলেও সার্বিক আইনশৃঙ্খলা ভালো। আর এ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরাও সচেষ্ট রয়েছেন।

কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মধুমেলা উদযাপন কমিটির সদস্যসচিব জাকির হোসেন বলেন, মেলায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা আসছেন। সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে এ মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যশোর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ৭ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ মধুমেলা আগামী ৩০ জানুয়ারি শেষ হবে।
 
বাংলা স্কুপ/ প্রতিনিধি/ এনআইএন/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ