রঙিন ফুলকপি চাষে সফল লক্ষ্মীপুরের জামাল
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
২৪-০১-২০২৫ ০৬:০১:৫১ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
২৪-০১-২০২৫ ০৬:০২:১৭ অপরাহ্ন
সংবাদচিত্র : সংগৃহীত
লক্ষ্মীপুরে বাণিজ্যিকভাবে রঙিন ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষ করে সফল হয়েছেন কৃষক জামাল। তিনি স্থানীয় বাজারে উচ্চমান পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ এ কপির ভালো ফলন পাচ্ছেন। সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমনসা গ্রামে বাড়ির পাশে এ বছর প্রথম ২০ শতাংশ জমিতে সাদা, গোলাপি, হলুদ ফুলকপি এবং লাল বাঁধাকপি (রেডকেবল) চাষ করেন।
রঙিন কপি চাষে ফলন আশানুরূপ হয়েছে। এই কপি চাষের খবর স্থানীয় ভাবে জানাজানি হলে আশপাশের এলাকা থেকে কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ দেখতে আসে। অনেকে ক্ষেত থেকে কপি কিনে নিচ্ছেন। এতে কপি চাষে অন্যরাও উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।
জামালের ভাষ্যমতে, বাজারে রঙিন কপির দাম বেশি। জমিতে চাষসহ উৎপাদন খরচ হয়েছে প্রায় ৭০ হাজার টাকা। অর্ধেকেরও বেশি লাভ হবে তার। শহরের চকবাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শীতকালীন ফুলকপি ও বাঁধাকপি ২০-৩০ টাকা করে কেজি বিক্রি হচ্ছে। রঙিন ফুলকপির কেজি ১৫০ টাকা। রঙিন বাঁধাকপি ৮০-১০০ টাকা।
ক্ষেতে রঙিন কপি কিনতে আসেন আক্তার উজ জামান। তিনি জানান, কপিগুলো সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ। বাজারে এ কপির চাহিদা আছে। চরমনসা গ্রামের কৃষক মো. ইব্রাহিম বলেন, ‘জামাল নতুন করে রঙিন কপি চাষ করেছেন। ভালো সবজি হয়েছে। দামও ভালো। অথচ সাদা কপির দাম কম। উৎপাদন খরচও ওঠে না।’
কৃষক জামাল বলেন, ‘এ অঞ্চলে আমিই রঙিন কপি চাষ করেছি। অনেকেই এসে চাষের বিষয়ে জানতে চাচ্ছেন। বাজারে এ কপি সবার নজর কাড়ে। এ ছাড়া আমার বাগানটি একটি এনজিও সংস্থা প্রদর্শনী হিসেবে ব্যবহার করছে।’
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসান ইমাম বলেন, ‘পরীক্ষামূলক কৃষক জামাল পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ রঙিন কপি আবাদ করেছেন। তিনি ভালো দাম পাচ্ছেন। আমরা প্রচারণা চালাচ্ছি। কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি, তারা যেন এ সবজি উৎপাদনে আগ্রহী হোন। এতে কৃষক অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন।’
বাংলা স্কুপ/ প্রতিনিধি/ এনআইএন/ এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স