ঢাকা , শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫ , ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​সমলিঙ্গের বিয়ে জায়েজ করলো সরকার!

ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় : ২৩-০১-২০২৫ ০৪:৩৬:১১ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ২৩-০১-২০২৫ ০৪:৩৬:১১ অপরাহ্ন
​সমলিঙ্গের বিয়ে জায়েজ করলো সরকার! ​সংবাদচিত্র : সংগৃহীত
থাইল্যান্ডে সমলিঙ্গে বিয়ের আইন কার্যকর হয়েছে। আইনটি কার্যকর হওয়ার পর ‘থাইল্যান্ডের ওপরে রংধনু পতাকা উড়ছে’ বলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। 

বিবিসির খবরে বলা হয়, গত বছরের জুনে থাইল্যান্ডের পার্লামেন্টে সমলিঙ্গের বিয়ের বিল পাস হয়। এশিয়ায় তাইওয়ান ও নেপালের পর তৃতীয় দেশ হিসেবে থাইল্যান্ডে এমন বিল পাস হয়। এতে করে ওই দেশে সমলিঙ্গের বিয়ে জায়েজ হয়েছে বলে মনে করছেন বাসিন্দারা।

গত সেপ্টেম্বরে থাই রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন বিলটি অনুমোদন করেন। অনুমোদনের ১২০ দিন পর আইনটি কার্যকর হলো। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, থাইল্যান্ডে আজ আইনটি কার্যকর হওয়ায় দেশটির শত শত সমলিঙ্গের জুটি বিয়ে করতে যাচ্ছেন। অন্যদিকে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সারা দেশে এক হাজারের বেশি সমলিঙ্গের জুটি বিয়ে করবেন।
সমলিঙ্গের বিয়ের সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠানগুলোর একটি হচ্ছে ব্যাংককের একটি বিলাসবহুল বিপণিকেন্দ্র। সেখানে ১০০টির বেশি সমলিঙ্গের জুটি বিয়ে করবেন।

আইনটি কার্যকর হওয়ার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, 'দুই দশকেরও বেশি লড়াই, বাহ্যিক আইন এবং দুই দশকের কুসংস্কার ও সামাজিক মূল্যবোধের মোকাবিলা শেষে আমরা এই দিনে পৌঁছাতে পেরেছি।' 

বর্তমানে সুইজারল্যান্ডের দাভোসে রয়েছেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে যোগদানের জন্য গিয়েছেন। সেখান থেকে তিনি লেখেন,  এই মাইলফলকটি একটি ‘সম্মিলিত অর্জন’। সমলিঙ্গে বিয়ের এই আইনটি  থাই সমাজের লিঙ্গ বৈচিত্র্যের বৃহত্তর সচেতনতার সূচনা। এটি যৌন বহুমুখিতা, জাতি বা ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে আলিঙ্গন করতে সাহায্য করবে। এই আইনটি নিশ্চিত করে যে প্রত্যেকে সমান অধিকার এবং মর্যাদার অধিকারী। 

২০০১ সালে নেদারল্যান্ডস প্রথম সমলিঙ্গের বিয়ে অনুমোদন দেয়। এরপর ৩০টির বেশি দেশ সমলিঙ্গের বিয়েকে বৈধতা দিয়েছে।
 
বাংলা স্কুপ/ ডেস্ক/ এনআইএন/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ