ঢাকা , শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫ , ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাঁপছে জনপদ, বাড়ছে দুর্ভোগ

​উত্তরে নেই সূর্যের দেখা

ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় : ২৩-০১-২০২৫ ০৪:১৯:৩৮ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ২৩-০১-২০২৫ ০৪:১৯:৫৯ অপরাহ্ন
​উত্তরে নেই সূর্যের দেখা ​সংবাদচিত্র : সংগৃহীত
উত্তরের জেলাগুলো শুরু হয়েছে মাঘের হাড়কাঁপা শীত। দিনভর ঘন কুয়াশা আর ঠাণ্ডা বাতাসে জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। তাপমাত্রা খানিক বাড়লেও শীতের তীব্রতা কমেনি। উল্টো বেড়েছে। তার উপর গত দুদিন ধরে সূর্যের মুখ দেখেনি উত্তরের বাসিন্দারা। সেই সাথে ঠাণ্ডা বাতাস বইছে ঘণ্টায় ৭ থেকে ৮ কিলোমিটার গতিতে। সব মিলে চরম কষ্টে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষেরা। বৃহস্পতিবার (২৩জানুয়ারি) বাংলাস্কুপের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত-

পঞ্চগড় প্রতিনিধি জানান- উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের শুরু হয়েছে মাঘের হাড়কাঁপা শীত। দিনভর ঘন কুয়াশা আর ঠাণ্ডা বাতাসে জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। তাপমাত্রা খানিক বাড়লেও শীতের তীব্রতা কমেনি। উল্টো বেড়েছে। বৃহস্পতিবার পঞ্চগড়ের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত দুদিন ধরে সূর্যের মুখ দেখেনি প্রান্তিক এ জেলার বাসিন্দারা। সেই সাথে দিনভর কুয়াশা ও উত্তরে ঠাণ্ডা বাতাস বইছে ঘণ্টায় ৭ থেকে ৮ কিলোমিটার গতিতে। সব মিলে চরম কষ্টে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষেরা। এদিকে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। 

আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জীতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘এ মাসে আরো শৈত্য প্রবাহের পূর্বাভাস রয়েছে। এখন দিনের ও রাতের তাপমাত্রার ব্যবধান কমে এসেছে। সেই সঙ্গে ঘন কুয়াশা ও ঠাণ্ডা বাতাসে খুব শীত অনুভূত হচ্ছে।’

নওগাঁ প্রতিনিধি জানান- তীব্র শীত অনুভূত না হলেও কয়েকদিন থেকে বেড়েছে শীতের দাপট। গত দুইদিন থেকে দেখা মিলছে না সূর্যের। রোদহীন দিনভর কনকনে ঠান্ডা আর হিমেল হাওয়ায় আবারও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে নওগাঁর জনজীবন। বৃহস্পতিবার নওগাঁয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  
নওগাঁর বদলগাছী কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত দুই দিন ধরে মেঘ-কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে সূর্য। এ কারণে ঠান্ডা বেশি অনুভব হচ্ছে।

দিনাজপুর প্রতিনিধি জানান-  শীতে কাঁপছে দিনাজপুরের মানুষ। গত দুই দিন থেকে দেখা মিলছে না সূর্যের। বৃষ্টির মতো ঝরছে শীত আর ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে এ জেলা। বৃহস্পতিবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  গত কয়েকদিন ধরেই উত্তরাঞ্চলের এ জেলাটিতে বেড়েছে শীতের দাপট। 
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় দিনাজপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা  রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৩ কিলোমিটার।

নীলফামারী প্রতিনিধি জানান- নীলফামারীতে ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে। সারাদিন দেখা মিলছে না সূর্যের। সড়কে বাস ও দূরপাল্লার পরিবহনগুলো হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। কনকনে ঠান্ডায় কাজে বের হওয়া মানুষজন চরম বিপাকে পড়েছেন। বিশেষ করে গরম কাপড়ের অভাবে কষ্টে ভুগছেন অসহায় মানুষজন।

সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম বলেন, বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ ২৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ৯৫ শতাংশ। 

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি জানান- ঘনঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় স্থবির হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের মানুষের জীবনযাত্রা। ঠান্ডা ও কুয়াশা উপেক্ষা করে কাজে বের হতে পারছেন না শ্রমজীবী মানুষ। টানা তিন দিন ধরে কুড়িগ্রামে সূর্যের দেখা মেলেনি। মেঘলা আকাশে ঢাকা ছিল এ অঞ্চল। বিকেল হতেই হিমালয়ের বরফ ছোঁয়া কনকনে ঠান্ডা বাতাসে মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়। বৃহস্পতিবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুড়িগ্রাম কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের পর্যবেক্ষণ সুবল চন্দ্র সরকার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

বাংলা স্কুপ/ ডেস্ক/ এনআইএন/এসকে 


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ