বেল্ট অ্যান্ড রোডকে আরও মানসম্পন্ন করার অঙ্গীকার বাংলাদেশ-চীনের
ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় :
২১-০১-২০২৫ ০৭:৪১:০৯ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
২১-০১-২০২৫ ০৭:৪১:০৯ অপরাহ্ন
সংবাদচিত্র : সংগৃহীত
বেইজিংয়ের আন্তঃদেশ সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক সম্পর্কিত উচ্চাভিলাষী প্রকল্প বেল্ট অ্যান্ড রোড কে-অপারেশনকে (বিআরসি) আরও উচ্চমানসম্পন্ন করতে পারস্পরিক সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ককে গভীরতর করার অঙ্গীকার করেছে বাংলাদেশ এবং চীন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মো. তৌহিদ হোসেন সোমবার (২০ জানুয়ারি) চীন সফরে গেছেন। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বেইজিংয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ং ই-এর সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সে বৈঠকে এ ইস্যুতে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে চীনের দৈনিক দ্য চায়না ডেইলি। বৈঠকের পর একটি লিখিত বিবৃতি দিয়েছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেখানেও উল্লেখ করা হয়েছে এ তথ্য।
বিবৃতিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, “চীনের পররাষ্ট্রনীতিতে প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশ এবং দেশটির জনগণকে সবসময়েই গুরুত্ব দেওয়া হয়। আধুনিকায়ন বা আধুনিক সভ্যতা সম্পর্কে চীনের যে ধারণা— তাকে বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে দেওয়ার জন্য ব্যাপক সংস্কার এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর সহযোগিতা প্রয়োজন। দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই প্রথম— যারা বেল্ট অ্যান্ড রোড কো-অপারেশন বিষয়ক মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং (এমওইউ) চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল।”
বিবৃতিতে দুই দেশের মধ্যকার বিভিন্ন বৃহৎ প্রকল্প, ‘ছোটো কিন্তু সুন্দর’ জীবিকা নির্বাহ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা এবং উদীয়মান নতুন বিনিয়োগক্ষেত্রে অন্বেষণের ক্ষেত্রে দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুসংহত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ওয়াং ই। ওয়াং দুই দেশের প্রতি বড় বড় প্রকল্প এবং “ছোট কিন্তু সুন্দর” জীবিকা নির্বাহের কর্মসূচি বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা সমন্বয় করার, নতুন উদীয়মান ক্ষেত্রগুলি অন্বেষণ করার সময় ঐতিহ্যবাহী সহযোগিতা সুসংহত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
১৯৭৫ সালে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় চীন। চলতি বছর দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্ণ হবে। এদিকে বৈঠক শেষে এক বার্তায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা তৌহিদ হাসান বলেন, চীনের সঙ্গে বন্ধুত্ব বাংলাদেশের জন্য এমন এক ঐকমত্য, যা বাংলাদেশের সব সরকার এবং পুরো জাতি দ্বারা সমর্থিত। বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও ভৌগলিক অখণ্ডতাকে সমর্থন করা এবং দীর্ঘ ৫ দশক ধরে বিভিন্ন ইস্যুতে নিঃস্বার্থভাবে সহযোগিতা করার জন্য বেইজিংকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তৌহিদ হোসেন। সেই সঙ্গে বলেন, বাংলাদেশ সবসময়ই ‘এক চীন’ নীতিতে আস্থাশীল।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স