মেডিকেলে কোটা বাতিল চেয়ে শহীদ মিনারে অবস্থান
ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় :
২০-০১-২০২৫ ১২:৫৬:৪৫ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
২০-০১-২০২৫ ০১:২৪:৫৫ অপরাহ্ন
সংবাদচিত্র : সংগৃহীত
মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় কোটা পদ্ধতির অবসান দাবি করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছেন বিক্ষুব্ধরা। ভর্তি পরীক্ষায় কোটা পদ্ধতি রেখে ফলাফল প্রকাশের প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে ফলাফল বাতিল করে পুনরায় প্রকাশের দাবিতে সেখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা ‘অবিলম্বে ফলাফল বাতিল করো করতে হবে’, ‘কোটা না মেধা-মেধা মেধা’, ‘মেডিকেলের ফলাফল-পুনঃপ্রকাশ করতে হবে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে নিটোরের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ইদ্রিস আলী গণমাধ্যমকে বলেন, আমার একজন ছেলে বা মেয়ে ৭৩ পেয়েও মেডিকেলে চান্স পাচ্ছে না অথচ মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৩৬ বা ৩৭ পেয়েও চান্স পেয়ে যাচ্ছে। পরিবর্তিত বাংলাদেশে কেনো এই বৈষম্য থাকবে। আমরা এই ফল মানি না।
শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রয়োজনে আমরা ঢাকা মেডিকেলসহ সারাদেশের সব মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলনে নামবো। সুতরাং এই আন্দোলনকে হালকাভাবে নেওয়ার কিছু নেই। আজকের মধ্যেই ফলাফল বাতিল করতে হবে। এ সময় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসক ও শিক্ষকরা এসে সংহতি জানান।
এর আগে, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কোটা পদ্ধতি রাখার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। রোববার (১৯ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে হলপাড়া থেকে মিছিলটি শুরু হয়। এরপর ভিসি চত্বর ও টিএসসি হয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন বিক্ষোভকারীরা। এসময় তারা কোটাবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেন। এছাড়াও, রোববার রাত ১০টায় মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কোটা পদ্ধতি বহাল রাখার প্রতিবাদে ঢাকা কলেজে বিক্ষোভ মিছিল করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
উল্লেখ্য, এ বছর ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য ৫ হাজার ৩৭২ জন পরীক্ষার্থীদের প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে। রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিকেল ৪টার পর এ ফল প্রকাশ করা হয়। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, ভর্তি পরীক্ষার পাস নম্বর ৪০। অংশগ্রহণকারী ১ লাখ ৩১ হাজার ৭২৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে মোট ৬০ হাজার ৯৫ জন ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পাশের হার ৪৫ দশমিক ৬২ শতাংশ। এর মধ্যে ছেলে পরীক্ষার্থী ছিল ২২ হাজার ১৫৯ জন যা উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর ৩৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ। উত্তীর্ণ মেয়ে পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৩৭ হাজার ৯৩৬ জন যা উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর ৬৩ দশমিক ১৩ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত সর্বোচ্চ নম্বর ৯০ দশমিক ৭৫।
বাংলা স্কুপ/ডেস্ক/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স