বাংলাদেশে এইচএমপি ভাইরাসে আক্রান্ত নারীর মৃত্যু
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
১৬-০১-২০২৫ ০১:৪৮:০৮ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
১৬-০১-২০২৫ ০৫:৫৮:০৩ অপরাহ্ন
প্রতীকী ছবি
দেশে প্রথম হিউম্যান মেটানিউমো (এইচএমপি) ভাইরাসে আক্রান্ত নারী সানজিদা আক্তার (৩০) মারা গেছেন। মহাখালী সংক্রামক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিনি মারা যান।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আরিফুল বাশার এ বিষয়ে গণমাধ্যমে বলেন, “সানজিদা আক্তার শুধু এইচএমপিভি ভাইরাসের কারণে মারা যাননি। তার কিডনি ও শ্বাসতন্ত্রের জটিলতা, রক্তে ইনফেকশনসহ বেশি কিছু শারীরিক জটিলতা ছিল।”
চীন ও ভারতের পর গত ১২ জানুয়ারি ওই নারীর রোগীর শরীরে এইচএমপি ভাইরাস শনাক্ত করার তথ্য দেয় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআর। জানা যাচ্ছিল, ওই নারীর বিদেশ সফরের কোনো ইতিহাস ছিল না।
এবারের শীতে চীনের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে শিশুরা এ ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে সতর্কতা জারি করেছে চীন।
চীনের পর ভারতের কর্ণাটক রাজ্যেও আট মাসের এক শিশুর এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত বেশকিছু রোগী পাওয়া গেছে ভারতে। বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার পরামর্শ দিয়েছে সেই দেশের সরকার।
এইচএমপি ভাইরাসে সাধারণত শ্বাসতন্ত্র আক্রান্ত হয়। আক্রান্ত ব্যক্তির ঠাণ্ডা, সর্দিকাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট, র্যা শ ওঠার মত লক্ষণ দেখা যায়। উপসর্গ মৃদু। তবে শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে নিউমোনিয়ার মত মারাত্মক জটিলতা তৈরি করতে পারে।
ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতে হাত ধোয়া, মাস্ক পরা, জ্বর ও সর্দিকাশি আছে এমন ব্যক্তি থেকে দূরে থাকা, জটিল রোগী হলে সরাসরি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিবেদক/ এনআইএন/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স