ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ , ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​বেগম জিয়ার লিভার প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়নি : ডা. জাহিদ

ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় : ১৫-০১-২০২৫ ০৮:৪২:৩৮ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১৫-০১-২০২৫ ০৮:৪৩:৩৬ অপরাহ্ন
​বেগম জিয়ার লিভার প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়নি : ডা. জাহিদ ​সংবাদচিত্র : সংগৃহীত
বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার লিভার প্রতিস্থাপনের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

বিএনপি চেয়ারপার্সনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন লন্ডনের স্থানীয় সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা জানান।

মঙ্গলবার লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সেন্ট্রাল লল্ডনের ‌‘দ্য লন্ডন ক্লিনিকে’র সামনে ব্রিফিংকালে তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার ‘লিভার প্রতিস্থাপন’ করার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেকসহ সেদেশের বিএনপি নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) স্বাস্থ্যগত সব পরীক্ষার প্রতিবেদন আসার পরই ‘লিভার প্রতিস্থাপনের’ সিদ্ধান্ত নেবে মেডিকেল বোর্ড। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের শারীরিক ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

তিনি বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে তাঁর বয়স এখন ৭৯ বছর। এ কারণে আদৌ ‘লিভার প্রতিস্থাপন’ করার মতো শারীরিক অবস্থায় তিনি (ম্যাডাম জিয়া) আছেন কিনা বা কীভাবে করলে ম্যাডাম আরও ভালো থাকতে পারবেন এসব বিষয় বিবেচনা করতে হবে। তবে সেগুলো বিচার-বিশ্লেষণের সময় এখনো আসেনি।’

বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় অতি দ্রুত যে সব পরিবর্তন আনা দরকার সে বিষয়গুলোই চিকিৎসকরা বিবেচনায় নিচ্ছেন বলেও উল্লেখ করেন ডা. জাহিদ হোসেন।

তিনি বলেন, ‘চেয়ারপার্সনের পরবর্তী চিকিৎসা এখন কতটুকু প্রয়োজন সে বিষয়েই আলোচনা হচ্ছে। তার লিভার ডিজিজ এবং হার্টের যে সমস্যা রয়েছে সেগুলোর রিপোর্ট এখনো কমপ্লিট হয়নি।’ 

ডা. জাহিদ আরও বলেন, ‘দ্য লন্ডন ক্লিনিকে’ ভর্তি হওয়ার পরে বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরিক্ষা করা হচ্ছে। তার লিভার, কিডনি, হার্টের জটিলতা রয়েছে। প্রত্যেকটি ‘এ্যাড্রেস’ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কাজেই সব মিলিয়ে আগামী কয়েকদিন আরো বেশকিছু পরীক্ষা-নিরিক্ষা করবেন এখানকার চিকিৎসকরা। 

তিনি বলেন, ‘দ্যা লন্ডন ক্লিনিকে’র’ লিভার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডির নেতৃত্বে ৬ থেকে ৭ জনের একটি মেডিকেল টিম বেগম খালেদা জিয়ার চিকিতৎসায় নিয়োজিত রয়েছেন। তারা আমাদের মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে তাদের ডিসিশন, অবজারভেশন শেয়ার করে যে ধরণের বেটার চিকিৎসা দেয়া প্রয়োজন সেটাই দিচ্ছেন। ’

ডা. জাহিদ আরও বলেন, ২০২১ সালে ২৭ এপ্রিল বেগম খালেদা জিয়া প্রথম করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এরপর তিনি ১৫ বার ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। পালাক্রামে ৪২২ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ সময়কালে যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের চিকিৎসক, অস্ট্রেলিয়ার নামকরা সব চিকিৎসক ও ডা. জুবাইদা রহমানসহ বিশিষ্ট চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের নেতৃত্বে তার চিকিৎসা হয়েছে। ওই সময় বিদেশি চিকিৎসকরা আমাদের দ্বিধাহীনভাবে বলেছিলেন যে, নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও আপনার বেগম খালেদা জিয়াকে যে চিকিৎসা দিয়েছেন তা চমৎকার। তাদের ভাষায় ‘ইউ ডিড দ্যা ওয়ান্ডারফুল জব’। এমন কি এখন লন্ডন হাসপাতালের ডাক্তারাও একই কথা বলছেন। 

বিএনপির চেয়ারপার্সনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার সব টেস্টের রিপোর্ট পাবার পর প্রয়োজন হলে যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা লন্ডনে আসবেন। আমাদের সাথে তাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ আছে। ’

ব্রিফিংয়ে তিনি আরো জানান, ‘হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেলেই বেগম খালেদা জিয়া সরাসরি তাঁর বড় ছেলে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় যাবেন। সেখানে তিনি আরও কিছুদিন থাকবেন।’ 

বিএনপি চেয়ারপার্সন ও বাংলাদেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনের সেন্ট্রাল-ওয়েস্টস্থ বিশেষায়িত হাসপাতাল লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। লিভার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডির তত্ত্বাবধানে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন। 

বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ