ঢাকা , রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫ , ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​গণমাধ্যম অকল্পনীয় স্বাধীনতা ভোগ করছে : প্রেস সচিব

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ১২-০১-২০২৫ ০৩:২৫:২৮ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১২-০১-২০২৫ ০৩:২৫:২৮ অপরাহ্ন
​গণমাধ্যম অকল্পনীয় স্বাধীনতা ভোগ করছে : প্রেস সচিব ​সংবাদচিত্র : সংগৃহীত
গণমাধ্যম এখন অকল্পনীয় স্বাধীনতা ভোগ করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

রোববার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে হোটেল ওয়েস্টিনে অক্সফামের উদ্যোগে ডেভেলপমেন্ট মিডিয়া ফোরামের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, গণতান্ত্রিক ট্রানজিশনের এই মুহূর্তে প্রশ্ন করার সঠিক সময়। এখন প্রশ্ন করতে পারেন, প্রশ্ন করার সঠিক পরিবেশ আছে কিনা? গণমাধ্যমের সেই স্বাধীনতা আছে কিনা প্রশ্ন করার? আমি আমার সরকারের পক্ষ থেকে বলতে পারি, গত পাঁচ মাস ধরেই আমরা বলছি, প্রশ্ন করার এখনই সময়। ক্ষমতাধরদের প্রশ্ন করে দায়বদ্ধতার মধ্যে নিয়ে আসার এখনই সেরা সময়।

শফিকুল আলম বলেন, গত ৫ মাসে আমরা আমাদের নিরাপত্তা এজেন্সি, প্রশাসনকে ব্যবহার করে, কিংবা কোনও আইন প্রয়োগ করে কোনও প্রকার বাধা দেইনি। যদি কারও অভিযোগ থাকে আমাদের জানান, আমরা সেটি নিয়ে কাজ করবো। এখন অকল্পনীয় স্বাধীনতা ভোগ করছে গণমাধ্যম। এখন আমার সমালোচনা করতে পারেন, প্রধান উপদেষ্টার সমালোচনা করতে পারেন, এমনকি উপদেষ্টাদেরও সমালোচনা করতে পারেন। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক করতে স্বাধীন গণমাধ্যমের প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি। আমরা সেজন্য যথাযথ পরিবেশ বজায় রাখার চেষ্টা করছি, যাতে যে কেউ যেকোনও সংবাদ ভীতি ছাড়াই করতে পারে।

তিনি বলেন, আমরা এখন এমন একটা সময়ে আছি যখন আমাদের উন্নয়ন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলছি। ছাত্র-জনতার সবাই এখন প্রশ্ন তুলছে, আমরা কি সঠিক পথে আছি, আমরা কি গণতন্ত্রের চেয়েও বেশি উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়েছি, গণতন্ত্রকে স্যাক্রিফাইস করে উন্নয়ন কতদূর টিকবে – এই ধরনের প্রশ্ন এখন সর্বত্র। আমাদের বেশ ভালো লেগেছে যে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এসব প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, যারা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছিল।

প্রেস সচিব আরও বলেন, গত কয়েক দশক ধরে আমরা যেসব প্রকল্প হাতে নিচ্ছি কিংবা বেসরকারি খাত যেসব প্রকল্প হাতে নিচ্ছে, আসলে আমরা নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছি পরিবেশের ক্ষতি করে। প্রতি বছর আমাদের নদীগুলো দূষণের শিকার হচ্ছে নতুন করে। এই মুহূর্তের তথ্য বলছে, দেশের ৫৪টি নদী দূষিত। আমরা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছি আমাদের নদী দূষিত করে। দূষণ এখন আমাদের সবচেয়ে বড় উদ্বেগের জায়গা। এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে কয়েক বছর পর আমাদের সন্তানরা এখানে বাস করতে চাইবে না।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে শফিকুল আলম বলেন, এখন অনেক প্রশ্ন আছে করার। আমাদের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো পরিবেশবিধি মেনে করা হয়েছে কিনা। এসব প্রকল্পে যারা কাজ করেছে তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে কিনা, প্রকল্প এলাকার আশেপাশে থাকা মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে কিনা। অনেক প্রশ্ন করার আছে, উন্নয়ন অনেক বড় বিষয়।
 

বাংলা স্কুপ/ প্রতিবেদক/ এনআইএন/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ