টিউলিপের ক্ষমা চাওয়া উচিত : প্রধান উপদেষ্টা
ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় :
১২-০১-২০২৫ ০১:২১:৫৪ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
১২-০১-২০২৫ ০৫:৫৯:০৮ অপরাহ্ন
ফাইল ফটো
লন্ডনে টিউলিপ সিদ্দিকের সম্পত্তির বিষয়ে তদন্ত হওয়া উচিত এবং টিউলিপের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একইসঙ্গে শেখ হাসিনা সরকারের সময় হওয়া লুটপাট থেকে তাঁর সুবিধা পাওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাঁকে বিচারের জন্য দেশে ফেরত পাঠানো উচিত বলে জানিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (১১ জানুয়ারি) সানডে টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সম্প্রতি কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে টিউলিপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের মিত্রদের কাছ থেকে লন্ডনে বিনামূল্যে ফ্ল্যাট নেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
এ নিয়ে দেশটির প্রধান বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান কেমি ব্যাডেনোচ টিউলিপকে বরখাস্ত করতে প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়াও সরকারদলীয় সংসদ সদস্যদের কয়েকজন টিউলিপের বিনামূল্যের ফ্ল্যাট পাওয়া নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) দেওয়া পোস্টে কেমি ব্যাডেনোচ লেখেন, ‘টিউলিপ সিদ্দিককে বরখাস্ত করার জন্য কেয়ার স্টারমারের জন্য এটি একটি সুযোগ।’ তিনি আরও লিখেন, ‘প্রধানমন্ত্রী (স্টারমার) তাঁর বন্ধুকে দুর্নীতি বন্ধের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। অথচ তিনি নিজেই দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত।’
টিউলিপ ব্রিটেনের লেবার মন্ত্রিসভার সদস্য। তিনি ইকোনমিক সেক্রেটারি টু দ্য ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর কাজ যুক্তরাজ্যের অর্থবাজারের ভেতরের দুর্নীতি সামাল দেওয়া।
উল্লেখ্য, পাবনার রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে। অভিযোগের তদন্তে নাম এসেছে শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে ও যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিকের। এ ঘটনায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিসভা অফিসের ন্যায় ও নৈতিকতা দল।
অভিযোগ উঠেছে, রাশিয়ার সঙ্গে ২০১৩ সালে যখন রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে আলোচনা হয়, তখন এতে মধ্যস্থতা করেন টিউলিপ। যদিও ওই সময় তিনি ব্রিটেনের কোনো সরকারি দায়িত্বে ছিলেন না। টিউলিপ সিদ্দিক ছাড়াও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও বোন শেখ রেহেনার বিরুদ্ধে।
বাংলা স্কুপ/ ডেস্ক/ এনআইএন/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স