ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫ , ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যশোরে

ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় : ০৮-০১-২০২৫ ০৫:২৮:১৭ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ০৮-০১-২০২৫ ০৫:২৮:১৭ অপরাহ্ন
​দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যশোরে ​ফাইল ফটো
দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে। বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকাল ছয়টায় জেলায় ১২ দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে উত্তরের জেলাগুলোতেও জেঁকে বসেছে শীত। মেঘলা আকাশের সঙ্গে ঠাণ্ডা বাতাস ভোগাচ্ছে উত্তরাঞ্চলের মানুষদের।

কুড়িগ্রাম
বুধবার জেলাজুড়ে মেঘে আচ্ছন্ন হয়ে আছে। সেই সঙ্গে হিমালয়ের বরফ ছোঁয়া কনকনে হিমেল বাতাসে কাহিল হয়ে পড়েছে এ জনপদের মানুষ। মানুষর পাশাপাশি গবাদি পশু-পাখিগুলো শীতে কষ্ট পাচ্ছে। বিশেষ করে চর-দ্বীপ চর এলাকার কয়েক লাখ মানুষ চরম কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। ঠান্ডার মধ্যেও এ অঞ্চলের শ্রমজীবী মানুষ আলু ক্ষেতে কাজ করছেন। কমে গেছে  শহরের মানুষের চলাচলও। 

শীতজনিত অসুখে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে বাড়ছে রোগী। বিশেষ করে শিশুরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। 

এদিন জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক পাঁচ  ডিগ্রি সেলসিয়াস।

স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এমন বিরূপ আবহাওয়া আরও কয়েকদিন  চলতে পারে।      

কুয়াকাটা
মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করায় সকাল থেকে পটুয়াখালীর কলাপাড়া ও কুয়াকাটায় মেঘলা আবহাওয়া বিরাজ করছে। সেই সঙ্গে ঘন কুয়াশা ঢেকে আছে গোটা উপকূলীয় এলাকা।

দুপুর ১২টায়ও সূর্যের মুখ দেখা যায়নি কলাপাড়ায়। বইছে মৃদু বাতাস। এ কারণে জেঁকে বসেছে শীত। প্রতিদিন কমছে তাপমাত্রা। তবে সে অনুযায়ী কলাপাড়ায় দরিদ্র পরিবারের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়নি।

তবে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোকছেদুল আলম জানান, উপজেলায় এখন পর্যন্ত এক হাজার ৯০০ কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে ৮৫০টি। 

এদিকে শীত ও ঘন কুয়াশায় ঢেকে আছে কুয়াকাটা সৈকত। সকালে শীত ও মৃদু বাতাসের কারণে সৈকতে পর্যটকদের উপস্থিতি তেমন নেই। এমনকি শীত ও কুয়াশার কারণে সমুদ্র পথে পর্যটন স্পটে ভ্রমণেও পর্যটকদের আগ্রহ নেই। অনেক পর্যটক সূর্যোদয় দেখতে না পেয়ে হতাশ। তবে শীতের সকালে কুয়াশাজড়ানো সৈকতের সৌন্দর্যে মুগ্ধ পর্যটকরা। 

মৌলভীবাজার
তাপমাত্রা না কমলেও মৌলভীবাজারে একদিনের ব্যবধানে আবারও ঘন কুয়াশার দাপট শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে কনকনে ঠান্ডা হিমেল বাতাস আর সূর্যের দেখা না মিলায় আবারও ভোগান্তিতে চায়ের জেলা মৌলভীবাজার। 

এদিকে ভোর থেকে ঘন কুয়াশার সঙ্গে আকাশে মেঘ জমে থাকায় দেখা মিলছে না সূর্যের। ফলে জেলার ৯২ টি চা বাগানের কয়েক লাখ চা শ্রমিক জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি কম আয়ের শ্রমজীবীদের দুর্ভোগ আবারও বেড়েছে। কনকনে বাতাস ও কুয়াশায় প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না মানুষ। 

শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিস জানায়, বুধবার মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে তাপমাত্রা বাড়লেও ঘন কুয়াশা, কনকনে ঠান্ডা বাতাসে বেড়ে গেছে শীতের তীব্রতা।

নীলফামারী
তাপমাত্রার তুলনায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে উত্তরের জেলা নীলফামারীতে। বুধবার জেলায় সৈয়দপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রেকর্ড করা হয়েছে। 

সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসে জানিয়েছে, সকাল থেকে কুয়াশা না থাকলেও মেঘাছন্ন আকাশ আর হিমশীতল বাতাসের কারণে গত দুই দিনের তুলনায় শীত বেড়েছে। 

এতে বেশি বিপাকে পড়েছে নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। জীবিকার তাগিদে তীব্র শীত উপেক্ষা করে ঘর থেকে বাহিরে এলেও কর্মসঙ্কটে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন দিনমজুররা।

এছাড়াও প্রয়োজনীয় শীত বস্ত্রের অভাব দেখা দেওয়ায় খড়কুটোয় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে ছিন্নমূলসহ হতদরিদ্র মানুষ।

ভোলা
ঘন কুয়াশা ও দিনের তাপমাত্রা কমে আসায় ভোলায় জেঁকে বসেছে শীতের তীব্রতা। বুধবার ভোরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস।

জেলায় গত কয়েক দিন ধরে ১২ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠানামা করার পাশাপাশি কনকনে হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা কয়েক গুণ বেড়েছে। দেখ মিলছে না সূর্যের। 

ভোলা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক মাহাবুব রহমান জানান, গত কয়েক দিন ধরে মৃদু শৈত্য প্রবাহের কারণে শীতের এ তীব্রতা বেড়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে এ তাপমাত্রা কিছুটা কমার পাশাপাশি মৃদু সত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।  


বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ