ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫ , ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ালো ভারত

ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় : ০৮-০১-২০২৫ ১২:৪৫:১০ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ০৮-০১-২০২৫ ০৪:০৮:০১ অপরাহ্ন
​শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ালো ভারত
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে ভারত। তাঁর বাংলাদেশের পাসপোর্ট বাতিলের ঘোষণার পরদিনই ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর খবর দিল ভারতীয় গণমাধ্যম। 

কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে বুধবার (৮ জানুয়ারি) আনন্দবাজার অনলাইনে ‘শেখ হাসিনার ভারতে থাকার মেয়াদ বৃদ্ধি করল নয়াদিল্লি’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। একই দিন ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসও এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। তবে ভারত ঠিক কবে শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে তা উল্লেখ করা হয়নি।

আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, দুই দিন আগেই হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরানোর জন্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি)। ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হাসিনা এবং সহঅভিযুক্তদের ট্রাইব্যুনালের সামনে হাজির হতেও বলা হয়।

বাংলাদেশের জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের সভাপতি মেজর জেনারেল ফজলুর রহমান একদিন আগে বলেছিলেন, ভারত যদি শেখ হাসিনাকে না পাঠায়, তা হলে অনুমতি সাপেক্ষে ভারতে গিয়েও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে রাজি কমিশন। গোটা বিষয়টিকে নয়াদিল্লির উপরে চাপ বাড়ানোর কৌশল হিসেবেই দেখেছে ভারত। শীর্ষ কূটনৈতিক সূত্রের খবর, এই পরিপ্রেক্ষিতেই অতি সম্প্রতি শেখ হাসিনার ভারতে থাকার রেসিডেন্ট পারমিটের মেয়াদ বাড়িয়েছে মোদি সরকার।

তবে দিল্লির কূটনৈতিক সূত্রে দাবি করা হয়েছে, শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি ‘কূটনৈতিক’ নয়, ‘আইনি’। কোনও অন্তর্বর্তী সরকার অন্য রাষ্ট্রের স্থায়ী সরকারের কাছে কোনও রাজনৈতিক নেতার প্রত্যর্পণ চাইলে, তার সমস্ত আইনি দিক খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানানো হয়েছে। ফলে, হাসিনাকে ফেরত চেয়ে বাংলাদেশের পাঠানো কূটনৈতিক বার্তার (নোট ভার্বাল) উত্তর অবশ্যই দেওয়া হবে ‘যথাসময়ে’। কিন্তু তার জন্য কোনো তাড়াহুড়া করা হবে না। 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার বলছে, বাংলাদেশের বার্তার সব দিক খতিয়ে দেখে জবাব দিতে কয়েক মাসও লেগে যেতে পারে।আর সে কারণেই হাসিনার ভারতে থাকার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।তাই তাঁকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর কোনও প্রশ্নই উঠছে না ভারতের পক্ষ থেকে। 

এদিকে, হিন্দুস্তান টাইমস প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস (এফআরআরও) শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিল। তবে তাঁকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া নিয়ে যে গুঞ্জন রয়েছে সেই কথাও অস্বীকার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ভারতে কোনো রাজনৈতিক আশ্রয় সংক্রান্ত আইন না থাকায় এফআরআরও–র মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ভারতে বসবাসের বৈধতা দেওয়া হয়েছে। তবে কত দিনের জন্য এই ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

এর আগে ২৩ ডিসেম্বর গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে নয়াদিল্লির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যার্পণের অনুরোধ জানায় ঢাকা। ৩ জানুয়ারি হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে জানায়, ভারত সরকার হাসিনাকে প্রত্যর্পণের জন্য বাংলাদেশের অনুরোধে সাড়া দেওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ এ জন্য ঢাকা প্রয়োজনীয় মূল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেনি।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের নেতাসহ ৭৫ জনের পাসপোর্ট বাতিল করেছে সরকার। এছাড়া, গুম-হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আরও ২২ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। এর একদিন পরই ভারতে অবস্থান করা শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধির খবর এলো।

বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এসকে

শেখ হাসিনাসহ ৭৫ জনের পাসপোর্ট বাতিল


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ