গণমাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে অনৈতিক আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত প্রকাশিত ও প্রচারিত খবরকে উস্কানিমূলক উল্লেখ করে প্রত্যাখ্যান করছে রসাটম। রসাটম তার নিজস্ব সুনাম ও স্বার্থ রক্ষায় আদালতের শরণাপন্ন হতেও প্রস্তুত বলে জানিয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ডিসেম্বর) রসাটমের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এমন দাবি করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রসাটম তার সকল প্রকল্পে উন্মুক্ত কর্মপন্থা, দুর্নীতি প্রতিরোধ নীতি এবং ক্রয় পদ্ধতিতে স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ব্যবসা প্রক্রিয়ায় উন্মুক্ততা বাহ্যিক নিরীক্ষার মাধ্যমে নিয়মিতভাবে নিশ্চিত করা হয়ে থাকে। এতে আরও বলা হয়েছে, গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত অসত্য তথ্যগুলো রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পটিকে কলঙ্কিত করার একটি প্রয়াস হিসেবে বিবেচনা করছি। এই প্রকল্পটি বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ঘাটতি সমস্যার সমাধান এবং জনগণের কল্যাণের স্বার্থে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, পরিকল্পনা অনুযায়ী রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ২০২৩ এ প্রথম ইউনিট (১২০০ মেগাওয়াট) ২০২৪ সালে দ্বিতীয় ইউনিট (১২০০ মেগাওয়াট) উৎপাদন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু উপকেন্দ্র ও সঞ্চালন লাইন প্রস্তুত না হওয়া উৎপাদনের তারিখ পিছিয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বর করা হয়। এরপর লাইন প্রস্তুত না হওয়ায় মার্চের আগে উৎপাদনে যেতে পারছে না।দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল এ প্রকল্পে সিংহভাগ অর্থায়ন করছে রাশিয়া। ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্পে রাশিয়ার অর্থায়ন রয়েছে ৯৩ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন