গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির কার্যক্রম স্থগিত
আপলোড সময় :
১৪-০৯-২০২৪ ০৬:৪৯:২০ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
১৪-০৯-২০২৪ ০৮:৪৯:৪০ অপরাহ্ন
গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি। ফাইল ফটো
বাংলা স্কুপ, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪:
গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি সংগঠনটির সকল কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছিল এই সংগঠনটি। এছাড়াও অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ছিলেন এই সংগঠনের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব পদে এবং ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এই সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক ছিলেন।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সংগঠনটির ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। ওই পোস্টে লেখা হয়, গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির সকল কমিটি ও কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
এমন এক সময়ে গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি তাদের কমিটি ও কার্যক্রম স্থগিত করল যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে সব ধরনের ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে।
সম্প্রতি গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাহিদ ইসলাম এবং আসিফ মাহমুদস ছাড়াও অধিকাংশ সমম্বয়ক দল নিরপেক্ষ এই ছাত্র সংগঠনের বিভিন্ন পদে ছিলেন। সমম্বয়ক লুৎফর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আরিফ সোহেল, যুগ্ম আহ্বায়ক পদে ছিলেন। এছাড়া সমম্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম, যুগ্ম সদস্য সচিব পদে ছিলেন।
সমম্বয়ক আব্দুল কাদের ও তারেকুল ইসলাম সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। আবু বাকের মজুমদার ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্য সচিব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম সদস্য সচিব হিসেবে ছিলেন রাফিয়া রেহনুমা হৃদি, আব্দুল হান্নান মাসউদ।
এছাড়া সদস্য হিসেবে মো. রাশিদুল ইসলাম রিফাত, হাসির আল ইসলাম, আব্দুল্লাহ সালেহীন অয়ন, মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ যুক্ত ছিলেন।
কার্যক্রম স্থগিত ও কমিটি বিলুপ্ত করার বিষয়ে আখতার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির নেতা-কর্মীরা সর্বাত্মকভাবে অংশগ্রহণ করে আন্দোলনের সঙ্গে একীভূত হয়ে যায়। তারপর থেকে গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি স্বনামে সক্রিয় ছিল না, এ নামে কোনো প্রোগ্রাম করিনি, ফেসবুক পেজেও কোনো অ্যাক্টিভিটি ছিল না। ফলে গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে।
আখতার আরও বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পরে দুজন দায়িত্বশীল সরকারের উপদেষ্টা হন এবং ক্যাম্পাসগুলোতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে, ছাত্রসংগঠনের মধ্যে ছাত্ররাজনীতি কেমন হবে তা নিয়ে অস্পষ্টতা রয়েছে। নীতিনির্ধারণের বিষয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার বলে মনে হয়। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির কার্যক্রম স্থগিত করা এবং কমিটিগুলো বিলুপ্ত করা হয়।
তিনি আরও বলেন, গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি কীভাবে ফাংশন করবে, সেটা বর্তমান যারা আছে এবং সামনে যারা যুক্ত হবে তারা ছাত্ররাজনীতির রূপরেখা কি হবে সেটাকে সামনে রেখে সিদ্ধান্ত দেবেন। আমি (আখতার হোসেন) জাতীয় নাগরিক কমিটিতে যুক্ত থাকায় এবং নাহিদ-আসিফ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে থাকায় আমরা গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির ডিসিশন মেকিং ও দায়িত্বে থাকছি না।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৪ অক্টোবর ডাকসু ভবনের সামনে এ দলের আত্মপ্রকাশ ঘটে। সেদিন ২১ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি এবং আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে আহ্বায়ক ও আবু বাকের মজুমদারকে সদস্যসচিব করে ৩৩ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিও ঘোষণা করা হয়। আসিফ মাহমুদ বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা এবং আবু বাকের মজুমদার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ডেস্ক/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স