ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​মিরিঞ্জা ভ্যালিতে কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ১৯-১২-২০২৪ ০৬:৩৩:৩৭ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১৯-১২-২০২৪ ০৬:৩৩:৩৭ অপরাহ্ন
​মিরিঞ্জা ভ্যালিতে কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন
মিরিঞ্জা ভ্যালি বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৮০০ ফুট উঁচু পাহাড় উপর একটি নতুন পর্যটন স্থান। সাজেকের মতই এখানে পাহাড় আর মেঘের খেলা উপভোগ করতে পারবেন।
এখান থেকে দূরের আকাশ কাছে মনে হয়, ইচ্ছে করলেই হাতে ছোঁয়া যায় মেঘ। যারা পাহাড় ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন তাদের মিরিঞ্জা ভ্যালি হাতছানি দিয়ে ডাকে। প্রকৃতি এই জায়গাটিকে আপন মনে সাজিয়েছে।
সুখ পাহাড় ও দুখ পাহাড়ের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া মাতামুহুরী নদীর অপূর্ব সুন্দর ভিউ দেখতে পাবেন। চারিদিকে সবুজ পাহাড়, মেঘের খেলা বর্তমানে মিরিঞ্জা ভ্যালি ও মারাইংছা হিল পর্যটকদের কাছে একটি আকর্ষণীয় পর্যটন স্থান হয়ে উঠেছে।
এখানে বিদ্যুৎব্যবস্থা না থাকায় রাত হয় নিবিড়। সারা রাতভর ঝিঁঝি পোকার ডাক শুনতে পাবেন। যতদূর চোখ যাবে শুধু সবুজ পাহাড় ও মেঘের খেলা দেখতে পাবেন। সব মিলিয়ে আপনি আপন মনে প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশ উপভোগ করতে পারবেন।
বিশেষ করে চাঁদনী রাতে ও সকাল বেলায় মিরিঞ্জা ভ্যালির আসল সৌন্দর্য দেখা যায়।
এছাড়া মিরিঞ্জা ভ্যালি থেকে পায়ে হেঁটে ৩০ মিনিট গেলেই মিরিঞ্জা ভ্যালি ঝর্ণা দেখতে পাবেন। তবে ঝর্ণা দেখতে যাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই গাইড নিতে হবে।

মিরিঞ্জা ভ্যালি কীভাবে যাবেন
বান্দরবান জেলা শহর থেকে ৮৬ কিলোমিটার এবং চকরিয়া থেকে ২৪ কিলোমিটার দূরে লামা উপজেলায় মিরিঞ্জা ভ্যালি অবস্থিত। লামা উপজেলা শহর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে মিরিঞ্জা বাজার অবস্থিত। মিরিঞ্জা বাজার থেকে ১০ মিনিট পথ হেঁটে গেলে মিরিঞ্জা ভ্যালি।
ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়ার পথে চকরিয়া বাস স্টেশনে নামতে হবে। সেখান থেকে লামা-আলীকদম পথে চান্দের গাড়ি, সিএনজি বা বাসে করে মিরিঞ্জা ভ্যালি যাওয়া যায়। বাস বা চান্দের গাড়ি জনপ্রতি ভাড়া ৬০ থেকে ৯০ টাকা।
লামা-আলীকদম রোডে মিরিঞ্জা বাজারে নামবেন। মিরিঞ্জা বাজারে নেমে পায়ে হেঁটে ১০ মিনিট পথ গেলে মিরিঞ্জা ভ্যালির রিসোর্ট গুলো দেখতে পাবেন।

কোথায় থাকবেন
বর্তমানে মিরিঞ্জা ভ্যালিতে ৪০ টির বেশি জুম ঘর ও রিসোর্ট রয়েছে। এই জুম ঘরের রিসোর্ট গুলোতে থাকতে পারেন। প্রত্যেক রাতের জন্য জুম ঘরের ভাড়া ২,০০০ টাকা থেকে ৩,০০০ টাকা পর্যন্ত।
এই জুম ঘরের প্রধান সমস্যাগুলো হল এখানে বিদ্যুৎ ও ওয়াশরুম ব্যবস্থা নেই। গ্রামের মতো দূরে ওয়াশরুম রয়েছে। গেস্টদের মোবাইল চার্জ দেওয়ার জন্য অনেক রিসোর্টে সোলার প্যানেল ও জেনারেটর ব্যবস্থা রয়েছে।
জুম ঘরে থাকার পাশাপাশি এখানে ক্যাম্পিং করে থাকার জন্য তাবুর ব্যবস্থা রয়েছে। তাবুতে থাকার পাশাপাশি খাবারসহ খরচ পড়বে জনপ্রতি ৯০০ থেকে ১,১০০ টাকা। যাওয়ার কমপক্ষে ১ মাস আগে রিসোর্ট বুকিং দিয়ে যাবেন।
এখানে থাকার জন্য সবচেয়ে সুন্দর মিরিঞ্জা ভ্যালি রিসোর্ট অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট। এই রিসোর্টে কাচের তৈরি সুন্দর একটি ভিউ পয়েন্ট পাবেন। যেখান থেকে চারিদিকের অপূর্ব সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। এই রিসোর্ট না থেকে ভিউ পয়েন্ট যেতে ২০ টাকা টিকিট কাটতে হবে।

মিরিঞ্জা ভ্যালির উল্লেখযোগ্য কয়েকটি রিসোর্ট সমূহ নিচে উল্লেখ করা হল –
মিরিঞ্জা ভ্যালি রিসোর্ট অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট, যোগাযোগ: ০১৮৮১-৬৯৬৮৬২
লামা হিল স্টেশন, যোগাযোগ: ০১৮৮৬-৩০১০০৬
মিরিঞ্জা সানসেট, যোগাযোগ: ০১৮৩৭-২৪৪৪৪৪
ডেঞ্জার হিল, যোগাযোগ: ০১৭৫৯-১৩৯০৭৫
মারাইংছা হল, যোগাযোগ: ০১৮৮৬-৬৭৩৭১৭

কোথায় খাবেন
এখানকার প্রত্যেকটি রিসোর্টে তিন বেলা খাবার জন্য খাবার প্যাকেজ রয়েছে। তিন বেলা খাবার প্যাকেজ মূল্য ৮০০ টাকা থেকে ১,১০০ টাকার মধ্যে।
এই প্যাকেজে সকালের নাস্তা খিচুড়ি ও ডিম ভাজি বা মুরগির মাংস। দুপুরে সাদা ভাত, ডাল, সবজি, সালাত ও মুরগির মাংস। রাতে চিকেন, পরোটা ও কাবাব। এছাড়া সন্ধ্যায় বারবিকিউ পার্টির ব্যবস্থা রয়েছে।
চাইলে মিরিঞ্জা বাজার খাবার হোটেল থেকে তিন বেলা কম খরচে খেতে পারবেন। এছাড়া বন্ধু-বান্ধব মিলে একসাথে রান্না করে খাবার খেতে পারবেন।

বাংলা স্কুপ/ প্রতিবেদক/ এসকে 


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ