'তারেক রহমানকে নিয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাদের বক্তব্য দুঃখজনক'
আপলোড সময় :
১৩-০৯-২০২৪ ০৪:১৬:২১ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
১৩-০৯-২০২৪ ০৪:১৬:৪৯ অপরাহ্ন
জাতীয় প্রেসক্লাবে জিয়া প্রজন্ম দল আয়োজিত আলোচনা সভায় বেগম সেলিমা রহমান। সংবাদচিত্র : সংগৃহীত
বাংলা স্কুপ, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪:
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা তারেক রহমানকে নিয়ে যে বক্তব্য দিচ্ছেন, তা দুঃখজনক।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে জিয়া প্রজন্ম দল আয়োজিত ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান ও আলোচনা সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সেলিমা রহমান বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা ও রাজনীতিবিদসহ সবাই মাঠে নেমেছিল। কারণ স্বৈরাচার সরকারকে পতন ঘটাতে হবে। গত ১৫ বছর জনগণ কথা বলতে পারেনি। তরুণ প্রজন্ম ভোটার হয়েছে কিন্তু ভোট দিতে পারেনি। বারবার বিনা ভোটে ক্ষমতায় এসে অবৈধ সরকার জনগণের পেটের ওপর লাথি মেরেছে। অত্যাচার নির্যাতন করে ক্ষমতায় টিকে ছিল। ছাত্র-জনতাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল শুধু ক্ষমতা ধরে রাখতে।
তিনি আরও বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হলে বিএনপি নেতা-কর্মীদেরকে সর্বপ্রথমে গ্রেফতার-নির্যাতন করা হয়েছে। তাদের ওপর কারাগারে অমানবিক অত্যাচার-নির্যাতন করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গত ১৭ বছর সরাসরি সরকার রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করে একের পর এক অপকর্ম করেছে। আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়নের নামে বিদেশে টাকা পাচার করেছে। ব্যাংকগুলোতে লুটপাট চালিয়েছে।
বেগম সেলিমা রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সবচেয়ে রোষানলের শিকার বিএনপির নেতাকর্মীরা। গত ১৭ বছরে বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী জীবন দিয়েছে। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ আজ স্বাধীন।
তিনি বলেন, স্বৈরাচারের দোসররা চুপচাপ বসে নেই। তারা বিভিন্ন জায়গায় উসকানি দিয়ে বিশৃঙ্খলা এবং ঘেরাও করার চেষ্টা করছে। প্রতিবেশী দেশ বিভিন্নভাবে তাদের ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত অব্যাহত রেখেছে। এজন্য বিভেদ নয়, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, যাদের বিরুদ্ধে দলের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠছে তারা বিএনপির কেউ না। পরিচয় নিশ্চিত না হয়ে নতুন করে কাউকে দলে ঢোকানো যাবে না।
সেলিমা রহমান অভিযোগ করেন, খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে মারার জন্য কারাগারে ‘স্লো পয়জন’ করা হয়েছিল। আজকে তিনি এতটাই অসুস্থ যে তাকে আড়াই ঘণ্টা উড়োজাহাজে করে বিদেশে পাঠানোর উপায় নাই। তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন ডাক্তাররা। তিনি জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করলেও সরকারের সঙ্গে আপস করেননি। আপস করলে অনেক আগেই প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন।
অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের হাতে নগদ অর্থ তুলে দেয়া হয়।
ডেস্ক/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স