অচিরেই নির্বাচনী রোডম্যাপে যাত্রা শুরু : তারেক রহমান
ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় :
১৫-১২-২০২৪ ০৮:২০:০৪ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
১৫-১২-২০২৪ ০৮:২০:৫২ অপরাহ্ন
সংবাদচিত্র : সংগৃহীত
শত অস্পষ্টতা কাটিয়ে অচিরেই নির্বাচনী রোডম্যাপে বাংলাদেশ যাত্রা শুরু করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বিকালে মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এরকম আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে এই আলোচনা সভা আয়োজন হয়। লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। শুরুতেই তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মত্যাগকারী বীর শহীদ এবং মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার কী করতে চাইছে? রাষ্ট্র মেরামতের জন্য অন্তর্বতীকালীন সরকারের আর কত মাস কিংবা কত সময় প্রয়োজন…. সেটি জানার অধিকার জনগণের রয়েছে। সরকার জনগণের সামনে তাদের আগামী দিনের কর্ম পরিকল্পনার রোডম্যাপ ঘোষণা করলে এটি একদিকে জনগনের কাছে সরকারের স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতাকেই নিশ্চিত করবে। অপর দিকে প্রশাসনিক কার্যক্রমেও গতিশীলতা বাড়বে।’
‘আমি বিএনপির সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলতে চাই, শত অস্পষ্টতা কাটিয়ে অচিরেই নির্বাচনী রোডম্যাপে যাত্রা শুরু করবে আমাদের প্রিয় এই বাংলাদেশ। সেই যাত্রায় আবারো বলছি, মন দিয়ে শুনবেন দলের প্রতিটি নেতা-কর্মী… আপনাদের বিশ্বস্ত সঙ্গি হচ্ছে দেশের গণতন্ত্রকামী স্বাধীনতা প্রিয় জনগন, আপনারা জনগনের সঙ্গে থাকুন, জনগনকে সঙ্গে রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন।’
রোডম্যাপের প্রসঙ্গ টেনে তারেক বলেন, ‘তবে অন্তবর্তীকালীন সরকারের আগামী দিনের কর্ম পরিকল্পনার রোডম্যাপ ঘোষণার কথা শুনলেই যদি উপদেষ্টাদের চেহারায় অস্বস্তির ছাপ ফুটে উঠে সেটি হবে অবশ্যই গণআকাঙ্ক্ষা বিরোধী।’
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশ ও স্বাধীনতা রক্ষা পেয়েছে। এই কারণে প্রায় আমি বলে থাকি, ১৯৭১ সাল ছিলো বাংলাদেশের স্বাধীনতার অর্জনের আর ২০২৪ সাল দেশ এবং জনগনের স্বাধীনতা রক্ষার।’
‘এমন পরিস্থিতিতে ফ্যাসিবাদমুক্ত পরিবেশে এবারের বিজয় দিবস অবশ্যই বেশি আনন্দের গৌরবের এবং অনেক বেশি অর্থবহ এবং তাৎপর্যপূর্ণ। আমি দূঢ় ভাবে বিশ্বাস করতে চাই, আগামীর বাংলাদেশে প্রতিটি স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস হয়ে উঠবে জনগনের প্রতি রাষ্ট্র ও সরকারের দায় কিংবা প্রতিশ্রুতি পুরণের একটি অর্থবহ দিন।’
‘তবে আগেও বলেছি, আজোও উল্লেখ করতে চাই, অন্তবর্তীকালীন সরকার নিজেরা নিজেদেরকে সফল দেখতে চায় কিনা তা তাদের কার্যক্রমের মাধ্যমেই প্রমাণ করতে হবে।’
জনগণের রাস্তা আটকানোর আপনারা কেউ না: ঢাবি শিক্ষক সামিনা লুৎফাজনগণের রাস্তা আটকানোর আপনারা কেউ না: ঢাবি শিক্ষক সামিনা লুৎফা
বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘একটি দেশের জন্য ৫৪ বছর সময় কম নয়…. এই কথাটি গতকাল একজন প্রতিবন্ধী ভাই উনি উল্লেখ করেছেন তার কিছু কথা বলতে গিয়ে। লাখো মানুষের রক্তের উপর দিয়ে দেশের জনগন আজ অভূতপূর্বে ঐক্যের মোহনায় এসে দাঁড়িয়েছে। এই ঐক্য কাজে লাগিয়ে একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে।’
‘একটি বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি ইতিমধ্যেই ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে… এই কর্মসূচির লক্ষ্যই হচ্ছে. শিশু-নারী-বৃদ্ধ অথবা দলমত ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে রাষ্ট্রকে অবশ্যই প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব নিতে হবে।’
দলের প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ঢাকা মহানগর দক্ষিনের রফিকুল আলম মজনু, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, যুব দলের এম মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন বক্তব্য রাখেন।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স