ঢাকা , শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​বাণিজ্য বন্ধ করলে ভারতে দুর্ভিক্ষ হবে: গয়েশ্বর

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ০৯-১২-২০২৪ ০৫:০১:৪৬ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ০৯-১২-২০২৪ ০৫:০১:৪৬ অপরাহ্ন
​বাণিজ্য বন্ধ করলে ভারতে দুর্ভিক্ষ হবে: গয়েশ্বর ​সংবাদচিত্র : ফোকাস বাংলা নিউজ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও ভিসা বন্ধ রাখলে দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে পারবে না ভারত। নরেন্দ্র মোদি ও সোনিয়া গান্ধী সবাই বসে কপাল ঠোকাঠুকি করতে পারবে কিন্তু দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে পারবে না।  
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সাহিত্যিক ও সাংবাদিক কালাম ফয়েজী রচিত ‘নেতা ও কবি’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমিটি এ আয়োজন করে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি ৯০ শতাংশ। আমরা শুধু ইলিশ মাছ পাঠাই, তারা সবকিছুই পাঠায়। সুতরাং ভিসা ও এলসি এসব যদি বন্ধ থাকে, তাহলে ভারতের দুর্ভিক্ষ ঠেকানো সম্ভব না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের একটা পররাষ্ট্র নীতি আছে। আমরা বলেছি, সব দেশের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব কিন্তু কোনও প্রভুত্ব না। শুধু ভারতের সঙ্গে নয়, পুরো বিশ্বের সঙ্গে আমাদের পররাষ্ট্র নীতি থাকতে হবে। ছোট-বড় দেশ বলে কোনও কথা নাই। প্রতিটা দেশই কারও না কারও ওপর নির্ভরশীল। আমেরিকা এত বড় একটা দেশ, তাদের অস্ত্র বানানো ছাড়া কোও কারখানা নেই। কিন্তু তাদের পোশাকের জন্য বাংলাদেশ ভিয়েতনামসহ বিভিন্ন দেশের ওপর নির্ভর করতে হয়। সুতরাং ভাতর যা করছে, তারা নিজেদের পায়ে নিজেরা কুড়াল মারছে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘ভারত যদি বাংলাদেশের মানুষের মনভাব না বোঝে, তাহলে দুই দেশের সম্পর্ক হবে মুখোমুখি। আজ তারা নেপালের সঙ্গে বন্ধুত্ব হারিয়েছে, মালদ্বীপের সঙ্গেও হারিয়েছে, এমনকি ভুটানের সঙ্গেও বন্ধুত্ব হারিয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক অনেক আগেই হারিয়েছে। এখন বাংলাদেশের সঙ্গে। তাদের ভাবতে হবে দক্ষিণ এশিয়ার ভেতর সবগুলো দেশের সঙ্গে সম্পর্কে হারিয়ে তারা কীভাবে চলবে। কোনও দেশই ভারতের সঙ্গে আপোষ করছে না। ভারতের অবস্থা বাঘ ও শিয়ালের গল্পের মতো হয়ে গেছে।’
গয়েশ্বর বলেন, ‘সংস্কারের কোনও শেষ নেই। কিন্তু আসল কথা কেউ বলছে না। অর্থাৎ নির্বাচন নিয়ে সুনির্দিষ্ট কথা কেউ বলেন না। এখন দুনিয়ার সব পণ্ডিতরা একত্রিত হয়েছে, কিন্তু কেউ রাজনীতিবিদ নয়। সবসময় সব দেশের রাজনৈতিক সমস্যার রাজনৈতিকবিদরাই সমাধান করেন। যারা অন্তর্বর্তী সরকার হয়েছে, তারা যদি মনে করেন তারাই সব তাহলে কীভাবে হবে।’
মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন শাহিনের সভাপতিত্বে এবং দৈনিক খোলাবাজার পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম কলিমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও ছিলেন– বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বইয়ের লেখক কালাম ফয়েজী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের রহমত উল্লাহ প্রমুখ।
 
বাংলা স্কুপ/ প্রতিবেদক/ এনআইএন/এসকে 


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ