ঢাকা , শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাজী নজরুলকে ‘জাতীয় কবি’ ভূষিত করে জারি হবে প্রজ্ঞাপন

ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় : ০৫-১২-২০২৪ ০৫:৩৫:১০ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ০৫-১২-২০২৪ ০৫:৪১:৫৫ অপরাহ্ন
কাজী নজরুলকে ‘জাতীয় কবি’ ভূষিত করে জারি হবে প্রজ্ঞাপন
কবি কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি হিসেবে ভূষিত করে গেজেট প্রকাশের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে কাজী নজরুল ইসলামের নাম সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব অনুমোদন দেয়নি উপদেষ্টা পরিষদ। পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। 
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে ভূষিত করে গেজেট প্রকাশের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এত দিন মুখে মুখে প্রেম ও দ্রোহের কবি কাজী নজরুলকে জাতীয় কবির স্বীকৃতি দেওয়া হলেও এর কোনো দালিলিক ভিত্তি ছিল না। অবশেষে কবি কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির মর্যাদা দিয়ে গেজেট হতে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের রুটিন দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত সচিব মো. আতাউর রহমান বলেন, সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবটি অনুমোদন হয়নি। কারণ সংবিধান সংশোধন করতে হলে সংসদ লাগে। এখন তো সে অবস্থা নেই। যখন সংবিধান সংশোধনের বিষয়টি আসবে তখন এটি সেখানে অন্তর্ভুক্ত করার পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
১৯৮৭ সাল থেকে কাজী নজরুল ইসলামকে দেশের জাতীয় কবির মর্যাদা দেওয়া হলেও এ বিষয়ে রাষ্ট্রীয় কোনো স্বীকৃতি নেই। শুধুমাত্র কবি কাজী নজরুল ইনস্টিটিউট আইনে জাতীয় কবি হিসেবে কাজী নজরুল ইসলামের নাম লেখা আছে। 
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গঠিত হয়ে অন্তর্বর্তী সরকার। রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার আনছে তারা। কাজী নজরুল ইসলাম বিংশ শতাব্দীর প্রধান বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, গীতিকার, সুরকার, নাট্যকার, সম্পাদক। তার মাত্র ২৩ বছরের সাহিত্যিক জীবনে সৃষ্টির যে প্রাচুর্য তা তুলনাহীন। সাহিত্যের নানান শাখায় বিচরণ করলেও তার প্রধান পরিচয় তিনি কবি। ১৮৯৯ সালের ২৪ মে (জ্যৈষ্ঠ ১১, ১৩০৬ বঙ্গাব্দ) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কাজী নজরুল ইসলাম। তার উল্লেখযোগ্য রচনাবলি- রণ সংগীত: চল্ চল্ চল্। ছোট গল্প: ব্যথার দান, রিক্তের বেদন, শিউলি মালা। উপন্যাস: বাঁধন হারা, মৃত্যুক্ষুধা, কুহেলিকা। কবিতা: প্রলয়োল্লাস, আগমনী, খেয়াপারের তরণী, বিদ্রোহী, কামাল পাশা, খুকী ও কাঠবিড়ালি, লিচু-চোর, খাঁদু-দাদু, আনোয়ার, রণভেরী, কোরবানী ও মোহররম।
কাজী নজরুল ইসলাম জগত্তারিণী স্বর্ণপদক, স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক, পদ্মভূষণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডি.লিট উপাধি পেয়েছেন। ১৯৪২ সালে কাজী নজরুল মারাত্মকভাবে স্নায়বিক অসুস্থতায় আক্রান্ত হয়ে পড়লে আকস্মিক তার সব সক্রিয়তার অবসান হয়। মৃত্যু অবধি সুদীর্ঘ ৩৪ বছর তাকে সাহিত্যকর্ম থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন থাকতে হয়। বাংলাদেশ সরকার ১৯৭২ সালে তাকে সপরিবারে কলকাতা থেকে ঢাকায় নিয়ে আসে। ১৯৭৬ সালে তাকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়। সে বছরই ২৯ আগস্ট (১২ ভাদ্র, ১৩৮৩ বঙ্গাব্দ) মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

বাংলা স্কুপ/ প্রতিবেদক/ এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ