কুয়াকাটা পৌরসভা
রাস্তা সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
০৫-১২-২০২৪ ০৩:৫৮:০০ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
০৫-১২-২০২৪ ০৩:৫৮:০০ অপরাহ্ন
কুয়াকাটা পৌরসভার একটি রাস্তা সংস্কারে গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের হোটেল রোজভ্যালি (বর্তমান নিউ সিকদার প্যালেস) থেকে ফকিরবাড়ি পর্যন্ত ১৪৫০ মিটার রাস্তার কার্পেটিং সংস্কারের কাজে অনিয়মের অভিযোগ করেন স্থানীয় লোকজন।
জানা গেছে, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে কোভিড ১৯ প্রতিক্রিয়া এবং পুনরুদ্ধার প্রকল্পের (এলজিসিআরআরপি) আওতায় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে বরাদ্দকৃত অর্থে রাস্তা সংস্কার ঠিক সময়ে কাজ শুরু না করা, তড়িগড়ি করে কাজ শেষ করা, ধুলাবালি-ময়লা ঠিকমত পরিষ্কার না করে সামান্য পুরুত্বের বিটুমিন দেওয়া , পুরানো ইট ব্যবহার, কমপক্ষে ১২-১৫ মিলিমিটার কার্পেটিংয়ের পরিবর্তে কোথাও অর্ধেক, আবার কোথাও তার থেকেও কম কার্পেটিং দিয়ে নামেমাত্র রাস্তা সংস্কার কাজ শেষ করার অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। কাজটি করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স গাজী কনস্ট্রাকশন।
কুয়াকাটা পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের জুন মাসে শুরু হওয়া কুয়াকাটা পৌরসভার আওতাধীন ২২৪০মিটার রাস্তাসহ মোট ৪টি স্কিমের কাজের দায়িত্ব পায় মেসার্স গাজী কনস্ট্রাকশন। যার ব্যয় বরাদ্দ ৬৯ লাখ চার হাজার পাঁচশ’ ৮৫ টাকা। কাজটি শেষ হওয়ার কথা এ বছরের ১০ডিসেম্বরের মধ্যে। এলাকার বাসিন্দা হাসান আল-আউয়াল জানান, এ রাস্তার সংস্কার কাজ অনেকদিন বন্ধ ছিল। হঠাৎ গত শনিবার থেকে আবার কাজ শুরু করে। নামেমাত্র সংস্কার শেষ হচ্ছে। বালুর মধ্যে বিটুমিন দেওয়া হচ্ছে। ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করা হচ্ছে না। বিভিন্ন স্থানে এমনভাবে কাজ করছে যেন মনে হচ্ছে, একবার বৃষ্টি হলে আগের চেয়ে খারাপ হয়ে যাবে।
ওই এলাকার বাসিন্দা আল-আমিন জানান, ঠিকাদারের লোকজন তাদের মনের মতো কাজ করছে। এই কাজটি শুরুর দিকে আমরা যেভাবে আশা করছি তার উল্টো হচ্ছে। রাস্তাটি মনে হয় বেশিদিন টিকবে না।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গাজী কনস্ট্রাকশনের পরিচালক মো. ফেরদাউস গাজী গণমাধ্যমকে কাজের অনিয়মের কথা অস্বীকার করে সঠিক কাজ হচ্ছে বলে জানান। রাস্তার বিভিন্ন স্থানে ১০ মিলির কম পিচ দেওয়া দেখালেও কোথাও কম আবার কোথাও বেশি আছে বলে দাবি তার।
কুয়াকাটা পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. সুজন জানান, যথাযথভাবে তদারকি করা হচ্ছে, বিটুমিন কমবেশি দেওয়ার সুযোগ নেই। তিনি আরো বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো অনিয়মের অভিযোগ পাইনি। তবে আমরা বিষটিকে এখন গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। কোনো প্রকার নিয়মের বাইরে গেলে আমরা কাজের বিল বন্ধ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুয়াকাটা পৌর প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. কৌশিক আহম্মেদ গণমাধ্যমকে জানান, কাজ শেষ হলে আমাদের প্রকৌশলীরা গিয়ে কাজের পরিপূর্নতা না পেলে কাজ বন্ধ করে দিবে। শতভাগ কাজ না হলে তাকে কোনো বিল দেয়া হবে না।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিনিধি/ এনআইএন/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স