ঢাকা , শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​সরাসরি গ্রাহকের কাছে বিদ্যুৎ বিক্রি করতে পারবে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র, নীতিমালা আসছে

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ৩০-১১-২০২৪ ০৬:৫৭:৪৫ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ৩০-১১-২০২৪ ০৯:৩৫:০৫ অপরাহ্ন
​সরাসরি গ্রাহকের কাছে বিদ্যুৎ বিক্রি করতে পারবে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র,  নীতিমালা আসছে ​সংবাদচিত্র : সংগৃহীত
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ড. ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন, নতুন নীতিমালা হচ্ছে, যার মাধ্যমে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র সরাসরি গ্রাহকের কাছে বিদ্যুৎ বিক্রি করতে পারবে। সরকারও এসব কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনতে পারবে।
তিনি বলেন, বেসরকারি খাতকে মার্চেন্ট পাওয়ার প্ল্যান্ট (এমপিপিপি) নীতির (এমপিপিপি) অধীনে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে হবে, যা থেকে সরকার সর্বোচ্চ ১০ থেকে ২০ শতাংশ বিদ্যুৎ কিনবে।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে ‘র‌্যাপিড ট্রানজিশন টু রিনিউয়েবলস : রোল অব ডোমেস্টিক ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে সরকার বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন নীতিমালার আওতায় স্থাপিত আইপিপি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মোট বিদ্যুৎ কেনার নিশ্চয়তা দিয়ে থাকে। নতুন নীতিমালায় বেসরকারি উৎপাদককে হুইলিং চার্জ পরিশোধ করে সরকারি গ্রিড সিস্টেমের মাধ্যমে নিজ ক্রেতার মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিক্রি করতে হবে। বিগত আওয়ামী লীগ শাসনামলে ব্যাংকগুলো বিনিয়োগকারীদের সম্পদের ভিত্তিতে নয়, জনগণকে দেখানোর জন্য অনেক প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে।
তিনি এও বলেন, বেসরকারি খাতে আর কোনো স্বতন্ত্র বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী (আইপিপি) কেন্দ্র স্থাপনের অনুমতি দেবে না সরকার।
অন্তর্বর্তী সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানির (আরই) প্রসারে আগ্রহী উল্লেখ করে ফাওজুল কবির জোর দিয়ে বলেন, দেশের রপ্তানিমুখী পোশাক খাতের জন্য বাধ্যবাধকতা হওয়ায় বিদ্যুৎ পেতে আরই’র কোনো বিকল্প নেই।
সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রচারণায় জমির স্বল্পতা প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে ড. কবির বলেন, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে বিপুল জমি অব্যবহৃত ও খালি পড়ে আছে। এই হাজার হাজার একর জমি সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
সৌরবিদ্যুতের বিভিন্ন উপাদান যেমন ইনভার্টার, প্যানেল এবং স্ট্রাকচারস আমদানির ক্ষেত্রে কর অব্যাহতির ধারণার বিরোধিতা করে উপদেষ্টা বলেন, এগুলো বিদেশ থেকে আমদানি করা উচিত নয়। বরং এগুলো ভারতের মতো স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করতে হবে।
ব্যবসায়ীদের ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান ফাওজুল কবির। তিনি বলেন, সরকার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সব ব্যবসায়ীর কাজ পাওয়ার জন্য সব ব্যবসা উন্মুক্ত করে দিয়েছে। এখন আনুকূল্য ও সুপারিশের মাধ্যমে ব্যবসা পাওয়ার দিন চলে গেছে।
ইআরএফ সভাপতি মো. রেফায়েত উল্লাহ মীরধার সভাপতিত্বে সেমিনারে আরো বক্তব্য দেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, সিটি ব্যাংকের বিজনেস কান্ট্রি ম্যানেজার আশানুর রহমান ও ক্লিনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান মেহেদী।
সূত্র : ইউএনবি

বাংলা স্কুপ/প্রতিবেদক/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ