ঢাকা , শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ১৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​উত্তরাঞ্চলে জেঁকে বসছে শীত, হাসপাতালে বাড়ছে ভিড়

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ৩০-১১-২০২৪ ০২:৩১:২৫ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ৩০-১১-২০২৪ ০৭:০২:৫৯ অপরাহ্ন
​উত্তরাঞ্চলে জেঁকে বসছে শীত, হাসপাতালে বাড়ছে ভিড় ​সংবাদচিত্র : সংগৃহীত
অগ্রহায়ণের দিন যত যাচ্ছে, ততই রোদের প্রখরতা ও সূর্যের উত্তাপ ম্লান হচ্ছে। বেলা গড়িয়ে দুপুরের কিছুটা কড়া রোদ পাওয়া গেলেও বিকালের গাড়িয়ে সন্ধ্যা নামতেই গায়ে জড়াতে হচ্ছে গরম কাপড়। সন্ধ্যার পর গা শিহরে ওঠা ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। রাত যত গভীর হচ্ছে, ততই কুয়াশাচ্ছন্ন থাকছে প্রকৃতি। ঋতু পরিবর্তনের এ সময়ে উত্তরাঞ্চলের একদিকে চলছে শীত বন্দনা। অন্যদিকে, ফ্লু, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, অ্যাজমাসহসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। বিশেষত শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাজশাহীতে সন্ধ্যা ৬টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর এদিন সকাল ৬ টায় সর্বনিম্ন ১৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর সর্বনিম্ন ১৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৫ নভেম্বর দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহী অঞ্চলের নওগাঁ জেলায়। সেখানে সর্বনিম্ন ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
নওগাঁ জেলার বদলগাছি আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মিজানুর রহমান জানান, শুক্রবার সকাল ৬ টায় সর্বনিম্ন ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। সামনে তাপমাত্রা আরও কমবে। অর্থাৎ রাজশাহী অঞ্চলে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদের ব্যবধান কমেছে। বেড়েছে শীত অনুভূতি। ঋতু পরিবর্তনে অসুখের প্রকোপও বেড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে অবস্থিত মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল, সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকসহ উপজেলার হাসপাতালেও আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। রামেক হাসপাতালের বহির্বিভাগের চাপ বেড়েছে অনেক। বিশেষ করে শিশু রোগীদের প্রচুর ভিড় দেখা গেছে। এ অঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে রোগী আসছে রাজশাহী শহরের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে। এতে বাড়তি ভিড় দেখা যাচ্ছে সর্বত্রই।
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডা. শঙ্কর কে বিশ্বাস বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত সর্দি, কাশি, জ্বর, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ অ্যাজমার রোগী সংখ্যা বাড়ছে। বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগ দুই জায়গাতেই রোগীর চাপ বেড়েছে। আমরা রোগীদের আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
রংপুর বিভাগেও শীতের তীব্রতা বেড়েছে। শীতের সঙ্গে বইছে কনকনে বাতাস। এতে শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিচ্ছে কয়েকগুণ। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এবারের শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
রংপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন ১৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি, নীলফামারীতে ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি, দিনাজপুরে ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি, নীলফামারীর ডিমলায় ১৪ ডিগ্রি ও রংপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এই জেলায়ও ভাইরাস জ্বর, নিউমোনিয়া শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়া রোগের প্রকোপ বেড়েছে। রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গত তিন দিনে আড়াই শতাধিক মানুষ ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালের আউটডোরে আক্রান্ত রোগীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
 
বাংলা স্কুপ/ প্রতিনিধি/ এনআইএন/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ