ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ , ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​গোটা জাতিকে উসকে দিয়ে অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে: মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ২৭-১১-২০২৪ ০৪:১০:১১ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ২৭-১১-২০২৪ ০৫:২৪:৫০ অপরাহ্ন
​গোটা জাতিকে উসকে দিয়ে অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ​সংবাদচিত্র : সংগৃহীত
কিছু কিছু মানুষ নিজেকে অত্যন্ত জনপ্রিয় মনে করেন। সবচেয়ে দেশপ্রেমিক মনে করেন। আর গোটা জাতিকে তারা বিভাজনের দিকে ঠেলে দিয়ে, উস্কে দিয়ে একটা অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজিত ‘স্বৈরাচারের পতন, গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও রাষ্ট্র গঠনে চিকিৎসক সমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা যতই বড় বড় কথা বলি, বক্তৃতা করি, বিশ্বকে এক করার চেষ্টা করি, হয় না। আমার নিজের ঘরেই যদি বিভাজন থেকে যায়, বিভেদ থেকে যায়, আমি সেটা কখনোই ঠিক করতে পারবো না। আমরা কয়েকটা দিন ধরেই খুবই চিন্তিত, খুবই উদ্বিগ্ন ভয়াবহভাবে। আপনারা চিন্তা করতে পারেন ধর্মকে কেন্দ্র করে যে উন্মাদনা শুরু হয়েছে বাংলাদেশে! আমরা মুক্ত স্বাধীন মিডিয়ার জন্য, প্রেসের জন্য, সভা করার জন্য এতদিন লড়াই করলাম, তারা উড়িয়ে দিচ্ছে। এই বাংলাদেশ তো আমরা দেখতে চাই না। আর কী উন্মাদনা! আর কিছু সংখ্যক মানুষ আছে যাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখে আমি আতঙ্কিত হই। পুড়িয়ে দাও জ্বালিয়ে দাও, এই ধরনের কথাবার্তা হচ্ছে সেখানে। চিন্তা করতে পারেন কোন জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশকে?
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা কী ভাবি আমাদের ভয়টা কোথায়?  আমরা কী বুঝি আমাদের আতঙ্কটা কোথায়?  আমরা কী বুঝি আততায়ী কোথায় ছুড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে?  বুঝি না। বুঝলে এত দ্বায়িত্বহীন কথাবার্তা বের হতো না আমাদের মুখ দিয়ে। দুর্ভাগ্য, কিছু কিছু মানুষ নিজেকে অত্যন্ত জনপ্রিয় মনে করেন।  সবচেয়ে দেশপ্রেমিক মনে করেন। আর গোটা জাতিকে আজকে তারা বিভাজনের দিকে ঠেলে দিয়ে, উসকে দিয়ে একটা অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আপনারা গভীরভাবে চিন্তা করবেন, আমি কারও নাম বলবো না, বলতে চাই না। ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করবেন— যারা আমাদের বিভেদের দিকে নিয়ে অনৈক্য করতে চাচ্ছেন, তারা আমাদের শত্রু না মিত্র? 
সাম্প্রতিক দেশের পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, এখনও স্বৈরাচারের পতনের তিন মাস শেষ হয়নি। কী অদ্ভুত! একের পর এক মাঠে নামছে বিভেদ নিয়ে, সবাই পত্রিকা অফিসে আগুন লাগিয়ে দিচ্ছি, আমরা কি এমন দেশ চেয়েছিলাম, কেন এত বিভাজন, কেন এত হিংস্রতা? আর কতবার বাংলাদেশকে ওপরে তোলার চেষ্টা করবো?
দেশে দুই-তিন দিনের ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেন, জানি আপনারাও আমাকে অনেকজন অনেক কিছু বলেন, স্পষ্ট কথা আমি লিবারেল ডেমোক্রেসি পক্ষের লোক, আমার দলও তাই। আপনার ভিন্ন মত থাকতে পারে, তাই বলে কি তাকে কথা বলতে দেবেন না?
পত্রিকা অফিসে আক্রমণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ১৫ বছর ধরে গণতন্ত্র ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছি।  আপনার সঙ্গে আমার মতের অমিল থাকতে পারে। তবে আপনার কথা বলার স্বাধীনতার জন্য আমার জীবন দিয়ে হলেও লড়বো।
ড্যাবের সভাপতি ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালামের তত্ত্বাবধানে এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা. মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন— বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

বাংলা স্কুপ/ প্রতিবেদক/ এনআইএন/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ